প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালের (৩য়তলা) শিশু ওয়ার্ডের কেএমসি কর্নারের ছাদ ধসে মা-সহ নবজাতক গুরুতর আহত হয়েছে। ৩১ মার্চ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় শিশুদের কেএমসি কর্নারে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অল্পের জন্যে রক্ষা পেলেন মা ও নবজাতক।
আহত তাসলিমা (২০) চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের ফরাক্কাবাদ গ্রামের রায়েস সরদারের স্ত্রী। তিনি মাথা ও মুখের ডানপাশে আঘাতপ্রাপ্ত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে জরুরি বিভাগে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ মার্চ প্রসব ব্যথা নিয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তাসলিমা। নবজাতক জন্ম নেয়ার পর তাদেরকে শিশু ওয়ার্ডের কেএমসি কর্নারে আলাদাভাবে রাখা হয়। হঠাৎ সন্ধ্যায় ওয়ার্ডের একপাশের অর্থাৎ হাসপাতালের ৩য় তলার ছাদ ধসে কেএমসি কর্নারের সিলিং ভেঙ্গে মা ও নবজাতকের গায়ে পড়ে। তবে নবজাতকের শরীরে বড় ধরনের আঘাত না লাগলেও মা মারাত্মক আহত হন।
এদিকে দুর্ঘটনাটি সন্ধ্যা ৬টার দিকে হলেও রাত ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ রোগী ও দুর্ঘটনাস্থলে যায়নি বলে অভিযোগ রোগীর স্বজনদের।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবাধয়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টা দেখবো। কিন্তু রোগীর চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণপূর্ত বিভাগের একজন প্রকৌশলী বলেন, এই ঘটনার বিষয়ে আমরা শুনেছি, তবে কেএমসি কর্নার কাজটি একটি এনজিও সংস্থা করেছে। কাজটি করার সময় আমাদেরকে জানানো হয়নি। আমরা জানলে এভাবে কাজটি করতে দেয়া হতো না। তাহলে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকতো না।
এদিকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ সাজেদা পলিন, আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল, গণপূর্ত অধিদফতর চাঁদপুরের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে ও রোগীকে দেখতে যান।