প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরনির্ভরশীল হয়ে চলে আসছে। নেই নিজস্ব কোনো ভবন। পুরানো জরাজীর্ণ ভবনে চলে আসছে কার্যক্রম। ভবনের আস্তর খসে পড়াসহ নানা সমস্যা বিরাজ করছে। আলমারিগুলো অকেজো, কম্পিউটারগুলো নামেমাত্র সচল হলেও কোনো রকমে কাজ চালিয়ে যেতে হয়। বৃষ্টি হলে সেই পানি ভবনের নিচ দিয়ে গিয়ে পুকুরে পড়ে।
ভবনের জন্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে চেষ্টা চলে আসছে। তাও আবার ৫টি রুম নিয়ে অফিসের কাজ চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কক্ষ ১টি, অফিস কক্ষ ২টি, হল রুম ১টি ও এমটিইপিআই কক্ষ ১টি। সীমিত সংখ্যক কক্ষ নিয়ে পরনির্ভরশীল হয়ে কার্যক্রম চলে আসছে। কিন্তু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার থাকলেও নেই তাদের হাসপাতাল। এখানে বর্তমানে নব যোগদানকৃতসহ ১২ জন ডাক্তার রয়েছেন।
পূর্বে যোগদানকৃত ১০জন ডাক্তারের মধ্যে ৫জন চাঁদপুর আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। গত সপ্তাহে ৩জন ডাক্তার ঢাকায় চলে যান। পুরানো ২ জন ডাক্তার এখানে কর্মরত আছেন।
এদের মধ্যে জয়নাব বানু মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ), লাম ইয়া নুর সহকারী সার্জন (আইটি ফোকাল পার্সন)। আর নতুন যোগদানকৃতদের কমিউনিটি ক্লিনিক ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রোস্টার করে দায়িত্ব দেয়া হবে।
৫৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও এফডাব্লিউসি ১৩টির মধ্যে এদেরকে ভাগ করে দিলে সপ্তাহে ১দিন গড়ে পড়বে।
জেলখানার কয়েদীদের জন্য ২জন ও পুলিশ লাইন্সে ২ জন ডাক্তার অবধারিতভাবে থাকতে হয়। এমনকি ট্রেনিং, মিটিং ও বিভিন্ন দিবস ও সময়ে সেখানে ডাক্তার থাকতে হয়।
নতুন যোগদানকৃত ডাক্তাররা হচ্ছেন-সহকারী সার্জন ডাঃ আয়েশা আক্তার, ডাঃ রুনী বেগম, ডাঃ আব্দুলাহ আল জুবায়ের, ডাঃ এইচএম হুমায়ুন ইসলাম খান, ডাঃ বাঁধন রায়, ডাঃ নুসরাত সালাম অ্যানি, ডাঃ মুহাম্মদ বরকত উল্যাহ, ডাঃ মালিহা আবছার, ডাঃ তুহিন আক্তার ও ডাঃ নুরুন নাহার। এদেরকে সহসাই ভাগ করে দায়িত্ব দেয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, ভবনের জন্যে মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। এ নিয়ে চেষ্টা চলে আসছে। সদ্য এখানে যোগদান করেছি। নতুন যোগদানকৃত ডাক্তারসহ ১২ জন কর্মরত রয়েছি। নতুন যোগদানকৃত ডাক্তারদের কমিউনিটি ক্লিনিক ও এফডাব্লিউসিগুলোতে ভাগ করে দেয়া হবে। ২০ জন ডাক্তার নিয়মিত থাকলে মাঠ পর্যায়ে সেবা নিশ্চিত করা যেতো। টিকার কার্যক্রমও চলছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার কোথায়ও সদর উপজেলা পর্যায়ে কোনো হাসপাতাল নেই। আমার আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে আমার দায়িত্ব থাকাকালীন আমার জানামতে কোথায়ও যেন অনিয়ম না হয়। বাকিটা আল্লাহর হাতে।