প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
মতলব-বাবুরহাট-পেন্নাই সড়কের বরদিয়া বাজার এলাকায় মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশা চালক ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। অপর পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে তিনজনের মৃত্যু হয়। গতকাল ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বরদিয়া বাজার জামে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজি অটোরিকশাটি চাঁদপুর থেকে মতলবের উদ্দেশ্যে এবং মাইক্রোবাসটি চাঁদপুরের দিকে যাচ্ছিলো। সিএনজি অটোরিকশার নাম্বার চাঁদপুর-থ-১১-২৭৯৬ ও মাইক্রো বাসটির নাম্বার ঢাকা মেট্রো-চ-১৯-৮০১২। এগুলো খুব দ্রুতগতির মধ্যে ছিলো। এতে মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান সিএনজি অটোরিকশা চালক জসিমউদ্দিন মোল্লা (৪৯)। তার বাড়ি মতলব উত্তর উপজেলার ঘনিয়ারপাড় গ্রামে। তিনি জালালউদ্দিন মোল্লার ছেলে। নিহত অপর যাত্রী হানিফ বেপারী (২৮)-এর বাড়ি চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার এলাকায়। তার বাবার নাম হারুন বেপারী। এছাড়া চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকার আজিম জামানের মেয়ে নুপুর (১৪) ও মতলব উত্তরের নুরুরকান্দি গ্রামের নূরজাহান বেগম নামে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা নারী হাসপাতালে মারা যান।
নিহত হানিফ বেপারীর স্ত্রী জান্নাত আক্তার পপি (২৫) আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহত আরো এক যাত্রীর পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বিক্ষুব্ধ জনতা প্রায় ঘণ্টাখানেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে রাখে। ঘটনাস্থলে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া, এসআই মোঃ আবু ফজলসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন মিয়া জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহত সিএনজি অটোরিকশা চালকের লাশ এবং মাইক্রোবাস ও সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়েছে।