প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি ও জিএস, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক কমিশনার, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা শাহজাহান চোকদার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। প্রশ্নোত্তর আকারে নিচে তা পত্রস্থ করা হলো:-
চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি এখনও অধিগ্রহণ করা হয়নি। অথচ এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন গুঞ্জন চলছে। এতে কি চাঁদপুরের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে বলে আপনি মনে করেন?
শাহজাহান চোকদার : অবশ্যই উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে এটি তো খুশির খবর। আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্যে এটি একটি মাইলফলক। বর্তমানে যে জমিটিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে, এটি একটি অকৃষি জমি। যেটি বহু আগেই জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডাঃ জেআর ওয়াদুদ টিপু ভাইসহ বেশ ক’জন ক্রয় করেছিলেন। পরে এটি বিক্রি করে ফেলেছেন। লক্ষ্মীপুরে একসাথে এতো জায়গা পাওয়ায় শিক্ষামন্ত্রী এ বিষয়টি নিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। আমাদের দেশে পদ্মাসেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পরিকল্পনা করেন, ঠিক তখনই ড. ইউনুস বিশ্বব্যাংকের কাছে ঘোষণা দিলেন পদ্মাসেতু নিয়ে দুর্নীতি চলছে। শেখ হাসিনা বললেন, বিদেশি সাহায্য ছাড়াই বাংলাদেশের টাকা দিয়ে পদ্মা সেতু হবে। সে পদ্মাসেতুতে জুন মাসের মধ্যেই চলাচলের পথ সুগম হবে। সে আলোকে বলবো, যারা ডাঃ দীপু মনিকে নিয়ে গুঞ্জন-অপপ্রচার করছে তারা উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে রাজনৈতিক শিষ্টাচার কতটুকু রক্ষা করেছেন?
শাহজাহান চোকদার : ডাঃ দীপু মনি এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আর নাছির উদ্দিন আহমেদ চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। দুজনকেই জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় পদ দিয়েছেন। দুজনেই একযোগে নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদপুরকে উন্নয়নের রোল মডেল করতে কাজ করছেন। হঠাৎ আবার কী হয়ে গেলো যেটা আমার বুঝে আসে না। তবে শিক্ষামন্ত্রীকে নিয়ে জেলা সভাপতির এভাবে কথা বলা ঠিক হয়নি বলে আমি মনে করি। কারণ আজ থেকে ৩০ বছর পূর্বে থেকেই ডাঃ দীপু মনি স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে টিম গঠন করে দিকদিগন্তে কাজ করেছেন। তিনি দলের হেভিওয়েট নেতা। আমি আশা করবো, তাদের দুজনের নেতৃত্বেই চাঁদপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হবে। যেমনটি হয়েছিলো চাঁদপুর মেডিকেল কলেজের বেলায়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : জেলা আওয়ামী লীগের গ্রুপিংয়ের কারণেই কি অপপ্রচার চলছে ? এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?
শাহজাহান চোকদার : গ্রুপিং তো আছেই। গ্রুপিংয়ের কারণেই জেলা আওয়ামী লীগ থেকে আমাকে বাদ দেয়া হয়েছে। এতে আমি পারিবারিকভাবে, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি। আমি এতো বছর রাজনীতি করলাম, জেল খাটলাম, চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলাম। পরিশেষে আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের সকল কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হলো। আমি ১৯৯১ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই ঢাকার সেই ৩২ নম্বর বাড়িতে প্রায় ৪০০ কর্মী নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করি। আমি পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। পরে জয়েন্ট সেক্রেটারি ছিলাম। পরবর্তীতে জেলা কৃষক লীগের সেক্রেটারি ছিলাম এবং জাতীয় কৃষক লীগের সদস্য পদ অর্জন করি। কিন্তু আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো পদে রাখা হয়নি। এতে আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। তবে দীপু আপা ও নাছির ভাই আমার খোঁজখবর নিয়েছেন। আমার যখন অ্যাক্সিডেন্ট হয় তাঁরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। রাজনীতিতে গ্রুপিং থাকবেই, গ্রুপিং করে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করবে এটা মানা যায় না। আমি মনে করি, নাছির ভাইকে কিছু সংখ্যক লোক ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছে।