প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ফরিদগঞ্জের নূরনবীর অকাল মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুতে চির্কা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার লাশ দেশে আনার চেষ্টা চলছে। বাবা-মা ও বোনদের স্বপ্ন পূরণের জন্য দুই বছর পূর্বে সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছিলেন নূরনবী। চেষ্টা করছিলেন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আয়-রোজগার করে স্বাবলম্বী হবেন এবং সাবলীলভাবে চলাফেরা করার ব্যবস্থা গড়বেন। এই সুন্দর পথে বাধা হয়ে দাঁড়ালো একটি দুর্ঘটনা। যে দুর্ঘটনা কেড়ে নিলো নূরনবীর প্রাণ। একমাত্র ছেলে হারানোর ব্যথা দরদী মা-ই জানেন, তাইতো ছখিনা বেগমের বিলাপ যেন শেষ হচ্ছে না। বুকফাটা আর্তনাদ করছেন দুই বোন এবং আত্মীয়-স্বজনরা।
১০ জানুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় নিহত প্রবাসী নূরনবীর বাড়ি ফরিদগঞ্জের গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের চির্কা ছৈয়াল বাড়িতে সরেজমিনে গেলে এমন দৃশ্যই চোখে পাড়ে। চির্কা ছৈয়াল বাড়ির কুয়েত প্রবাসী মোঃ দুলাল ছৈয়ালের একমাত্র পুত্র মোঃ নূরনবী শাকিল (২৫) সৌদি আরবের আবা শহরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। দুর্ঘটনাটি ঘটে ৯ জানুয়ারি রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।
জানা যায়, নূরনবী শাকিল ফেব্রুয়ারির ২ তারিখে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় কেনাকাটার জন্য মার্কেটে বেরিয়েছিলেন দুই বন্ধুসহ। মা বলেছিলেন জয়তুনের তেল আনতে। মায়ের জন্য জয়তুনের তেল ও অন্যান্য জিনিসপত্র কেনাকাটার জন্য শপিংয়ে বের হয়েছিলেন। রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির গাড়ির ধাক্কায় অনেকদূর ছিটকে পড়েন নূরনবী। তাৎক্ষণিক তার সঙ্গে থাকা অন্য দুই বন্ধু তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূরনবী।
সঙ্গে থাকা প্রবাসী বন্ধুদের মাধ্যমে জানা যায়, সৌদি আরবের ওয়ানওয়ে রাস্তা ফাঁকা দেখে নূরনবী দৌড়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করে। এতে করে সে মাথায়, নাকে-মুখে প্রচ- আঘাত পায়।