মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ০০:০০

আমদানি বেড়েছে ইলিশের
মিজানুর রহমান ॥

ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার (মোকাম) চাঁদপুর মাছঘাট। যার পরিচিতি ইলিশ বন্দর বা মৎস্য বন্দর হিসেবে। সেই ঘাটের চিরচেনা রূপ বদলে গেছে।

গত আড়াই মাসের মন্দাভাব কাটিয়ে এখন কিছু ইলিশ আসতে শুরু করেছে। গতকাল ১০ জুলাই শনিবার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় নদ-নদী থেকে জেলেদের আহরিত চার থেকে পাঁচশ’ মণ ইলিশ ঘাটে আমদানি হয়েছে। তাতে শ্রমিকদের ব্যস্ততা, ক্রেতাদের ভিড় বেড়ে গেছে। আড়তদারদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসি। ঘাটে নোঙর করা কয়েকটি ট্রলারের খোল ভরে আছে রূপালী ইলিশে।

প্রতি বছর এ সময় এই মোকামে বিপুল পরিমাণ ইলিশ আসতো। আর আড়তের সামনে ইলিশ রাখার জায়গা থাকতো না। সেখানে পুরো ঘাটে কিছু ইলিশ আসায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে বড় স্টেশন মাছঘাটে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক জানিয়েছেন, সিজনের যে পরিমাণ ইলিশ থাকার কথা সেই পরিমাণ আসছে না। সিজন অনুযায়ী ওই পরিমাণ মাছ হয় নি।

তিনি বলেন, ভোলা, হাতিয়া ও মনপুরা উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় তিন থেকে চারশ’ মণ ইলিশ একদিনে আমদানি হয়েছে। আমাদের লোকাল নদীতে মাছ নেই। দক্ষিণাঞ্চলের জেলেরা এখন কিছু মাছ পাচ্ছে। এ কারণে ঐতিহ্যবাহী এই ইলিশ ঘাটের কিছুটা প্রাণ ফিরে এসেছে।

মৎস্য ব্যবসায়ীদের এই নেতা আরো বলেন, গত কয়েক মাস মাছ না থাকায় এখানকার আড়তদার ও ইলিশ ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। অথচ উপকূলীয় এলাকার মাছকে গভীর সাগরের ইলিশ বলে স্থানীয় প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছে একটি চক্র। নৌ পুলিশ দুই দফা ঘাটে এসে দেখে গেছেন। সাগরের ইলিশের কোনো প্রমাণ তারা পায় নি।

সরজমিনে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, শুক্রবার দুটি এবং গতকাল শনিবার তিন-চারটি ট্রলার ঘাটে এসেছে।

হাজী আব্দুল গফুর জমাদার, হাজী আব্দুল মালেক খন্দকার, আঃ খালেক মালের আড়তে এই মাছ উঠানো হয়। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে ক্রেতাদের ভিড় জমে যায়। চলে দরদামের হাঁকডাক।

হঠাৎ লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে থাকা জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিমও সেখানে আসে। সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে মোবাইল টিমের প্রধান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।

এদিকে, ইলিশের আমদানি হওয়ায় দাম কিছুটা কমেছে। পাইকারী প্রতি মণ ইলিশ আড়তে বিক্রি হয়েছে ১৬ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ২২ টাকা হাজার টাকা দরে। দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীতে ইলিশের এমন প্রাচুর্য অবাক করেছে ব্যবসায়ী, জেলে, ক্রেতাসহ সবাইকে। কারণ এবার ইলিশ সিজনে এত ইলিশ চাঁদপুর ঘাটে দেখা যায়নি। সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ ঘাটে আসবে বলে আশা করেন স্থানীয় আড়তদাররা।

দেশের ইলিশ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মৌসুমে ইলিশের এমন প্রাচুর্য অস্বাভাবিক নয়, বরং ইতিবাচক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়