প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২১, ০০:০০
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত
কঠোর বিধিনিষেধ না মানায় ১৪৩ জনকে ১ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে
মহামারী করোনার বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত ৭ দিনব্যাপী কঠোর লকডাউনের পঞ্চমদিন গতকাল সোমবার অতিবাহিত হয়েছে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও মাঠে ছিলো প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবির সদস্যরা। লকডাউনের শুরু থেকেই বিভিন্ন জায়গায় টহল অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। শহরের বিভিন্ন সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি অব্যাহত আছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হলে তাদের কারণ জিজ্ঞাসা করে সচেতন করা হচ্ছে।
|আরো খবর
গতকাল সোমবার কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চমদিনে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১৪৩ জনকে ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৯২০ টাকা জরিমানা করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অসীম চন্দ্র বণিক এ তথ্য জানান। পাশাপাশি সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী বিধি লঙ্ঘন করাসহ বিভিন্ন অপরাধে মামলা করে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
গতকাল সকাল থেকে মাঠ পর্যায়ে জেলার ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদর কর্ম তৎপরতা দেখা যায়। বিভিন্ন চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার) । এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দীন।
পুলিশ সুপার পথচারীদের করোনা বিষয়ে সতর্ক করে জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, নিজে সচেতন হোন, পরিবারকে সচেতন করুন।
এছাড়া বিভিন্ন সড়কে জনগণকে সতর্ক ও সচেতন করে প্রচারণা করছেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ।
পুরাণবাজারে চাঁদপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচারণা, জীবানুনাশক স্প্রে ও মাস্ক বিতরণ করেছেন প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি।
বেলা ১২টার সময় শপথ চত্বর, জেএম সেনগুপ্ত রোড, কালীবাড়ি মোড়, পালবাজার মোড়, ব্রিজের উপর ও পুরাণবাজার কলেজ মোড় সড়কে অবস্থান করে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিক্তা খাতুন। এ সময় তাঁকে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন। অপরদিকে হাইমচর আলগীবাজার সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন হাইমচর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এদিকে চলমান লকডাউনের কারণে বহু মানুষ কর্মহীন হয়ে পরায় তাদের আয় রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। জেলা প্রশাসন থেকে যে ত্রাণ সহয়তা দেয়া হচ্ছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম সংখ্যক মানুষ পাচ্ছে। সরকারি সহযোগিতা না পাবার অক্ষেপ অনেক পরিবারের।
শহরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লার অলিগলিতে স্বাস্থ্যবিধি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া অবকাঠামো নির্মাণে সরকারের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।