প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:০২
চাঁদপুরকে মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
চাঁদপুরকে এবার পুরোপুরি মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ জন্যে এখন থেকেই একযোগে কাজ করার শপথ নেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ২৬ অক্টোবর শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। সভায় মাদকমুক্ত চাঁদপুর গড়তে গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) রাশেদুল হক চৌধুরী, নৌ পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার ইমতিয়াজ আহমেদ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ। সভায় বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের অন্য কর্মকর্তারাও তাদের মতামত তুলে ধরেন।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান যুবসমাজ অসংখ্য সংকট ও সমস্যায় জর্জরিত। এর মূল কারণ, মাদকের করাল গ্রাস। আর এই মাদক সংগ্রহ করতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চুরি, ডাকাতি এবং আরও বিচিত্র সব অপরাধে জড়িয়ে পড়ে তরুণ-যুব সমাজ । এমন পরিস্থিতিতে যুবসমাজ অবক্ষয় আর নৈতিক মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলে। এতে শুরু হয় সমাজে নানা অশান্তি।
জেলা প্রশাসক বলেন, এমনটি আর হতে দেয়া যাবে না। তাই যুবসমাজকে নৈতিক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণে সমাজের মূলবাধায় ফিরিয়ে নিতে চাঁদপুর জেলাকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করতে চাই। এ জন্যে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
সেনাবাহিনীর লে. কর্নেল মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, চাঁদপুরকে মাদকমুক্ত করতে অন্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীও প্রস্তুত থাকবে। পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব বলেন, মাদক নির্মূলে পুলিশের ভূমিকা থাকবে একেবারে জিরো টলারেন্সে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সবার সহযোগিতা নিয়ে নতুন করে পথ চলতে চায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এদিকে মতবিনিময় সভা শেষে উপস্থিত সবাই জেলা প্রশাসকের চাঁদপুরকে মাদকমুক্ত ঘোষণা পুরোপুরি বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার শপথ নেন।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরে নৌপথ, সড়কপথ ও রেলপথে যাতায়াত সুবিধা থাকায় পাশের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী এবং কক্সবাজার জেলা থেকেও গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা চালানের ক্ষেত্রে এই জেলা হচ্ছে ট্রানজিট পয়েন্ট। এতে এসব মাদকের করালগ্রাসে আসক্ত হয়ে পড়ে চাঁদপুরের যুবসমাজের একাংশ। আর এমন বিষয় নজরে আসার পর চাঁদপুরকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করতে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।