প্রকাশ : ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪২
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেফতার
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে কচুয়া হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ও কচুয়া আইডিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল কাজী আসাদ (৫৫)কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। রোববার (২২ ডিসেম্বর ২০২৪) তাকে পৌরসভাধীন কাজী বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও কচুয়া পৌরসভাধীন হাট কচুয়া গ্রামের কাজী বাড়ির মৃত কাজী আবদুল ওয়াদুদের ছেলে। এই ঘটনায় ধর্ষিতার মা কচুয়া থানায় রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০)-এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫। মামলা সূত্রে জানা যায়, কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়নের আকানিয়া গ্রামের ধর্ষণের শিকার শিশুটি কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে অবস্থিত হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার ৩য় শ্রেণির ছাত্রী। সে মাদ্রাসার হোস্টেলে থেকে আবাসিক ছাত্রী হিসেবে লেখাপড়া করে আসছিলো। গত ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শিশুটি খাবার পানি আনার জন্যে প্রতিষ্ঠানের নিচতলায় গেলে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল কাজী মো. আসাদ উল্যাহ তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার সহপাঠী ও পরিবারকে ধর্ষণের বিষয়ে খুলে বললে শিশুটির মা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। শিশুটির শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে কর্মরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। দীর্ঘ ১০ দিন চিকিৎসা শেষে রোববার শিশুটির মা কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী ২০২০)-এর ৯ (১) ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. জিয়াউল হক বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কচুয়া উপজেলাধীন হাটকচুয়া এলাকা থেকে মামলার আসামি কাজী আসাদকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।