প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৪
মেনাপুরে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
হাজীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মেনাপুর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, সবার প্রিয় স্যার নামে খ্যাত মোঃ মুকবুল হোসনের অবসরজনিত বিদায় ও সংবর্ধনা দিলো বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদ। ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার মেনাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল আকারে জাঁকজমকভাবে এ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রথম উক্ত বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষককে বিশাল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নগদ অর্থ, সংবর্ধনা ক্রেস্ট, বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়া হয়।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও লন্ডন প্রবাসী কাজী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জিলনের সার্বিক সহযোগিতায় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলাম ও মোঃ কাউছার আহমেদ পাটওয়ারীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুর রহমান।
সংবর্ধিত শিক্ষক মোঃ মুকবুল হোসেন বলেন, আমি মেনাপুর বাদশা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ১১ এপ্রিল ১৯৯২ সালে এই বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করি। ক্রমান্বয়ে সহকারী শিক্ষক থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং দুবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বকালীন অবস্থায় ৩২ বছর শিক্ষকতা পেশা শেষে অবসর গ্রহণ করি। চেষ্টা করেছি ন্যায়নীতির আদর্শ বজায় রাখতে। কতোটুকু পালন করতে পেরেছি তা উপস্থিতি থেকে বুঝা যায়। এলাকার মানুষজন, শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রাক্তন ছাত্র মোঃ দেলোয়ার হোসেন দুলুর সভাপতিত্বে ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাবের হোসেনের পরিচালনায় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন লন্ডন প্রবাসী প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী পরিষদের উপদেষ্টা সদস্য কাজী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জিলন, সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আখন্দ, সাবেক সহকারী শিক্ষক নিত্য গোপাল চন্দ্র, নকুল চন্দ্র সূত্রধর, শিক্ষক মোঃ সুমন খান, প্রাক্তন ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী মিজানুর রহমান, মোঃ শাহ আলম খান, আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান তালুকদার, হাবীবুর রহমান ঢালী, আমির হোসেন, ইব্রাহীম কাজী মামুন, কাজী মাসুদ, মোঃ ওবায়েদ উল্যাহ, ইকবাল হোসেন, ইভা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রী, বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয় থেকে বিদায় নেয়া সাবেক প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম আখন্দ, সহকারী শিক্ষক নিত্য গোপাল চন্দ্র, নকুল চন্দ্র সূত্রধর ও কর্মচারী মোঃ আবু বকরকেও কাজী মফিজুল ইসলাম ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ, সংবর্ধনা ক্রেস্ট ও বিভিন্ন উপহার সামগ্রী দেয়া হয়।