প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৮
বেড়িবাঁধ তুমি কার?
দু যুগেও উন্নয়ন করা হয়নি হামানকর্দি বেড়িবাঁধের
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দি বেড়িবাঁধের বেহাল দশা বিরাজ করছে। এই বেড়িবাঁধে উন্নয়নের কোনো ছোঁয়া লাগেনি। দু যুগেও কোনো উন্নয়ন করা হয়নি। বাঁধের দুপাশে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ করার পর থেকে কোনো মাটি দেখেনি। অযত্নে-অবহেলায় পরিচর্যাবিহীন অবস্থায় গাছগুলো বড়ো হয়েছে। অপরদিকে বেড়িবাঁধের ভেতর থেকে মাটির ট্রলারগুলো দ্রুতগতিতে আসা যাওয়া করায় তীব্র ঢেউয়ের কারণে বেড়িবাঁধের ৩টি স্থানে বিশালাকার ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।
এ বেড়িবাঁধ দিয়ে শাহতলী, বাবুরহাটসহ বিভিন্ন জায়গার মানুষজন রামচন্দ্রপুর খেয়াঘাট দিয়ে নৌকা পারাপার হয়ে চলাচল করতো। বাঁধে বিশালাকার ভাঙ্গন ও পানি থাকায় বাঁধ দিয়ে লোকজন চলাচল করা বন্ধ হয়ে গেছে।
রামচন্দ্রপুর খেয়াঘাট থেকে সরকার প্রতি বছর রাজস্ব আদায় করলেও বাঁধ মেরামত ও বাঁধের ভেতর ট্রলার প্রবেশ করা নিষেধ করেনি। বাঁধের দুপাশে রোপণ করা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়নি।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাঁধে ছোট-বড়ো ৬টি জায়গা বহু পূর্বে ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গনকৃত ৩টি জায়গা দিয়ে বাঁধের ভেতর থেকে মাটির ট্রলার চলাচল করে । ট্রলারগুলো ভেতরে আসা-যাওয়া করতে গিয়ে দ্রুত গতিতে চলাচল করায় পানির ঢেউয়ে ভাঙ্গনকৃত স্থানের পরিধি বৃদ্ধি পেয়ে বড়ো আকারের খালে পরিণত হয়। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায়নি। ২৪ বছরেরও বেশি হবে এ বাঁধের সংস্কার করা ও গাছগুলোর কোনো পরিচর্যা করা হয়নি।
লাখ লাখ টাকার গাছ প্রকৃতির ইচ্ছায় বড়ো হয়ে উঠেছে। এ বাঁধ সংস্কার করার জন্যে কি সরকারি কোনো বরাদ্দ আসে না, না সরকারি বরাদ্দ ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যান মিলে আত্মসাৎ করে নেয়--এমন প্রশ্ন অনেককে করতে শোনা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রামচন্দ্রপুর ও হামানকর্দি গ্রামের ক'জন বাসিন্দা বলেন, সরকারিভাবে দেশে উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। এ বাঁধের জন্য কি কোনো বরাদ্দ আসেনি? ২৪ বছরের বেশি হবে এ বাঁধে কোনো মাটি কাটার কাজ করা হয়নি। বাঁধের ভেতরে ট্রলার আসা যাওয়ার কারণে বাঁধের ছোট ভাঙ্গনগুলো বড় খালে পরিণত হয়েছে।
বাঁধটির উন্নয়ন বা সংস্কারের ব্যাপারে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি জরুরি বলে সচেতন মহল মনে করেন।