প্রকাশ : ২১ জুন ২০২১, ১১:১৬
কোটি টাকার সম্পদ অযত্নে-অবহেলায়
চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকায় অবস্থিত পৌরসভার ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগারটিকে অনেক বছর যাবৎ কোনো দেখভাল করা হয় নি। অযত্নে-অবহেলায় এই শোধনাগারটির অনেক মূল্যবান জিনিস নষ্ট হয়ে গেছে। নিয়মিত দেখভাল এবং রক্ষণাবেক্ষণ না করায় এটি জঙ্গলাকীর্ণ হয়েছে। গত কদিন আগে এর ভেতরে ঢুকে অবস্থা দেখে মনে হয়েছে যেনো এটি পরিত্যক্ত কোনো জায়গা। অথচ কয়েক কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে এখানে। এটি এই পৌরবাসীর সম্পদ। অবস্থা দেখে মনে হলো যেনো এটির দেখভাল করার দায়িত্ব যেনো কারো নেই। দেখা গেলো এই শোধনাগারটির সুইচবাল্ব একটারও চেম্বার নেই। অযত্নে-অবহেলায় আর দেখভাল না করায় এগুলো যেনো ধ্বংসস্তূপের ন্যায় পড়ে আছে। সাইনবোর্ডে ‘সংরক্ষিত এলাকা’ লেখা থাকলেও পুরো এরিয়াটি অরক্ষিত। যে কোনো মানুষ অবলীলায় এখানে ঢুকছে। এমনকি এই শোধনাগার সংলগ্ন পৌর মার্কেটের কিছু কিছু দোকানদার তাদের দোকানের পেছন দিয়ে অবৈধভাবে পকেট গেট করে ভেতরে আসা-যাওয়া করে থাকে এবং তাদের দোকানের মালামালও এটির ভেতরে রাখছে। গত ক'দিন আগে এক রাতে পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলকে এই শোধনাগারের ভেতরে ঢুকতে দেখে এই প্রতিবেদকও তাঁর পিছু নেন। এর ভেতরে ঢুকে দেখা গেলো চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র। মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল মূলত সে সময় এই শোধনাগারে ঢুকার সামনের গেইট ও বাউন্ডারি দেয়াল নতুনভাবে নির্মাণ করার চলমান কাজ দেখছিলেন। এর সুবাদেই তিনি এর ভেতরে ঢুকলে এই প্রতিবেদক তখন সেখানে কাকতালীয়ভাবে উপস্থিত হলে তিনিও মেয়রের সাথে ভেতরে ঢুকেন। তখন এর স্টাফ কয়েকজনও ছিলেন। তাদের কাছ থেকে জানা গেলো, বর্তমান মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল নির্বাচিত হওয়ার পর এ পর্যন্ত কয়েকবার এটির ভেতরে ঢুকেছেন এবং এটির এমন অবস্থা দেখে দুঃখ ভারাক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়েন। তারা আরো জানালেন, মেয়র জুয়েল প্রথম যেদিন এটির ভেতরে আসেন, সেদিন এটির এমন দুরবস্থা দেখে সাথে সাথে এটির আমূল সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সে উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন চমৎকার নির্মাণশৈলির মাধ্যমে এই শোধনাগারটির আধুনিক ডিজাইনে গেইট এবং বাউন্ডারি দেয়ালের নির্মাণ কাজ চলছে। গতকাল এর ভেতরে ঢুকে দেখা গেলো সব বন-জঙ্গল পরিষ্কার করা হয়েছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে দেখা গেছে ভূতুড়ে পরিবেশ। এই শোধনাগারের স্টাফদের থেকে আরো জানা গেলো, পৌরসভার কোনো কর্মকর্তা বছরেও একবার এখানে আসেন নি। ছবিতে এই শোধনাগারের দুরবস্থার কিছু চিত্র দেখা যাচ্ছে এবং মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েলকে রাতের বেলায়ও এই শোধনাগারে এসে এটির সমস্যা সমাধানে নানা পরিকল্পনা করতে দেখা যাচ্ছে।
|আরো খবর