প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:০৪
ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলায় বাসদের নিন্দা
বাসদের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার মোড়ে সমাবেশ ও শহরে লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাসদ চাঁদপুর জেলার সমন্বয়ক কমরেড শাহজাহান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, জেলা কমিটির নেতা দিপালী রাণী দাস ও জিএম বাদশা।
|আরো খবর
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৮০ সালে বাসদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, সম্পদ রক্ষার আন্দোলন, ডব্লিউ রহমান ও স্টার আলকায়েদের শ্রমজীবী মানুষের সকল লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। যতদিন শোষণহীন সমাজব্যবস্থা তথা সমাজতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ না হবে ততদিন এই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এদেশে ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনের পতন হলেও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বহাল রয়েছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারেনি, ভাঙতে পারেনি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। দেশের প্রায় ২৬% মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এখনো শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে রাস্তায় নামলে পুলিশের গুলিতে জীবন দিতে হয়। এখনো একদল সাম্প্রদায়িক অপশক্তি মাজার, মন্দির, দরগাহ ভাঙ্গে, মানুষ হত্যা করে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্র চলছে। পরাজিত ফ্যাসিস্ট শক্তির পক্ষে ভারত সরকার অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে অতিরঞ্জিত ও অপপ্রচার করছে। ভারতের কলকাতা, আগরতলা ও মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা-ভাংচুর ও জাতীয় পতাকায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। এটি অগ্রহণযোগ্য। আমরা নিন্দা জানাই। এসব ঘটনা দুই দেশের প্রতিক্রিয়াশীল শক্তিকে পুষ্টি যোগালেও ক্ষতিগ্রস্ত ও বিপদে ফেলছে দুই দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নিরীহ জনগণকে।
নেতৃবৃন্দ ভারত ও বাংলাদেশের উগ্রবাদী গোষ্ঠির সাম্প্রদায়িক উস্কানির ফাঁদে পা না দেয়ার জন্যে উদাত্ত আহ্বান জানান।