শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২২, ০০:০০

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে প্রমাণিত যে, তিনি ছিলেন পোয়েট অফ পলিটিক্স

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে প্রমাণিত যে, তিনি ছিলেন পোয়েট অফ পলিটিক্স
মিজানুর রহমান ॥

ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৭ মার্চ সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপ্রধানের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী, পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সভাপতি তপন সরকার, বিশিষ্ট লেখক ও ছড়াকারডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্মকর্তা, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সুধীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাংবাদিক এমআর ইসলাম বাবু। আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণে প্রমাণিত যে, তিনি ছিলেন পোয়েট অফ পলিটিক্স। সেদিন রাজনীতির অনবদ্য এক কবিতা তিনি রচনা করেছিলেন। অলিখিতভাবে সেটিকে ভাষণ বললে কম বলা হবে। কতবার যে এই ভাষণ আমরা শুনেছি, সারা বিশে^র জনগণ শুনেছেন, পৃথিবীর আর কোনো ভাষণ এতবার শ্রুত হয়নি। কী কারণে ৭ মার্চের ভাষণের কাছে আমাদেরকে যেতে হয় বারবার? সেখানে আমাদের ইতিহাস, বঞ্চনার কাহিনী রয়েছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার দিশা ও স্বাধীনতার ডাক ছিল সেই ভাষণে। মাত্র ১৮ মিনিটের বক্তব্যকে আমি বলবো ডিপ্লোমেটিক ভাষণ। দশ লাখ মানুষের সামনে অলিখিতভাবে তিনি ডিপ্লোমেটিক ওয়েতে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমাদের অনেক সময় পেরিয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই দেশ এগিয়ে চলেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু যে চেতনায় এই দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই চেতনার বাস্তবায়ন আমাদের ঘটাতে হবে। তাই আমাদের নতুন প্রজন্মের মধ্যে সেই বীজ বপন করে দিতে হবে। তাহলে এই দেশ আরো সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। তিনি তাঁর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং গভীর কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে, যিনি ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা এবং ‘জয়বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগান করেছেন।

পুলিশ সুপার তাঁর বক্তব্য বলেন, ৭ মার্চের ভাষণকে কেবল বাঙালির স্বাধীনতার শক্তি হিসেবেই নয়, বরং বিশে^র স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যে অনুপ্রেরণা মনে করি।

জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ তাঁর বক্তব্য বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ কোনো সাধারণ জনসভার ভাষণ ছিলো না। এটি ছিল স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত বাঙালি জাতির উদ্দেশ্যে জাতীয় মুক্তি তথা স্বাধীনতার লক্ষ্য অর্জনে বঙ্গবন্ধুর লড়াইয়ের চূড়ান্ত আহ্বান।

জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মর্মবাণী বিশে^র সব মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিতে হবে। মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, ৭ মার্চ আমাদের জাতীয় মশাল। যতবার বাংলাদেশ দিক হারাবে, এ ভাষণের প্রজ্জ্বলনে দিক খুঁজে পাবে।

আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসন ও শিশু একাডেমী চাঁদপুর আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী তাসফিয়া আক্তার।

সবশেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমীর শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়