প্রকাশ : ২০ জুন ২০২১, ১০:১২
নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ি সীমিত জনবলে প্রশংসনীয় কাজ করছে
চাঁদপুরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাপুটে ইউনিটের নাম ছিলো নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ি। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বেশ ক’বছর অনেকটা নীরব থাকলেও বর্তমানে পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করে চলছেন ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে চাঁদপুর সদর মডেল থানার নিয়ন্ত্রণাধীন নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ি।
|আরো খবর
জানা যায়, চাঁদপুর পৌরসভা এলাকাটি মূলত সাধারণ জনগণের কাছে নতুনবাজার ও পুরাণবাজার এই দুটি অংশে পরিচিত। একটি অংশ অর্থাৎ নতুনবাজার এলাকাটি পৌরসভার বিশাল একটি অংশ। তাই স্বাধীনতার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা ও জনগণের সুবিধার্থে সদর থানার অধীনে নতুনবাজার এলাকাটির জন্যে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ি নামে একটি ইউনিট গঠন করে আলাদা ইনচার্জ দেয়া হয়। একসময়ে এ সকল ফাঁড়ির সাধারণত দায়িত্বে থাকতেন টিএসআই, যাকে টাউন দারোগা বলা হতো। পুলিশ বিভাগের ইন্সপেক্টর পদের পরের পদ হিসেবে সাধারণত দাপুটে কর্মকর্তাকে এই পদে দায়িত্ব দেয়া হতো। এই কর্মকর্তার ব্যাপক সক্রিয়তায় শান্তিময় থাকতো শহর এলাকা।
বর্তমান সরকার বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগকে আধুনিকায়ন করায় এখন একজন ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার পুলিশ ফাঁড়ি পূর্বের ঐতিহ্য ধরে রাখতে কাজ করে চলছে। ফাঁড়ির বর্তমান ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই কর্মস্থলে যোগদানের পর থেকে প্রশংসনীয় এবং সাফল্যের সাথে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
ইন্সপেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান ও এসআই ইসমাইলের নেতৃত্বে এ ফাঁড়ির সদস্যদের নেতৃত্বে গত ৩ মাসে ৮টি মাদক মামলায় ৭শ’ গ্রাম গাঁজা, ২শ’ ৫০ পিচ ইয়াবা, ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ এবং জিআর ও সিআর মামলায় ৩০ সাজাভুক্ত গ্রেফতারি পরোয়ানার আসামী আটক করা হয়। তন্মধ্যে ৮ মার্চ চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন এলাকায় এসআই ইসমাইলের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে ৫শ’ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক, ৯ মার্চ ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে আলিমপাড়া থেকে ২৫ পিচ ইয়াবাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক, ৯ মার্চ এসআই ইসমাইলের নেতৃত্বে চাঁদপুর শহরতলীর ঢালীরঘাট থেকে ২০ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক, ২৩ মার্চ শহরের ক্লাবরোড থেকে এসআই ইসমাইলের নেতৃত্বে ৬৫ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক, ১০ মে ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৯৫ পিচ ইয়াবা ও ১১ মে ৩০ পিচ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক, ৫ জুন ২শ’ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক হয়। এছাড়াও জাটকা রক্ষা মৌসুমে ৩ হাজার কেজি জাটকা জব্দ করে গরিব-দুঃস্থ এবং এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। অপরদিকে জিআর ও সিআর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারিকৃত ৩০ আসামীকে আটক করা হয়।
ইন্সপেক্টর কামরুজ্জামান বলেন, আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনে সবসময় সতর্ক এবং সচেতন রয়েছি। তিনি আরও বলেন, ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকায় মাদক ও অপরাধীদের বিষয়ে আমি জিরো টলারেন্স।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমিত জনবলের মধ্য দিয়েও আমরা আমাদের ফাঁড়ির আওতাধীন এলাকায় ২৪ ঘণ্টা টহল পুলিশ রেখেছি। আমরা চেষ্টা করছি পুলিশ ও জনগণের মাঝে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার, তাই আমার দায়িত্ব পালনকালীন সকলের সহযোগিতা চাই।