শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

বিভাগীয় পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতা

চাঁদপুর জেলা থেকে ৩২টি ইভেন্টে অংশ নিবে ৭০জন খেলোয়াড়

চাঁদপুর জেলা থেকে ৩২টি ইভেন্টে অংশ নিবে ৭০জন খেলোয়াড়
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতাণ্ড২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা পর্যায় থেকে ৩২টি ইভেন্টের জন্যে প্রায় ৭০জন প্রতিযোগীকে বিভাগীয় পর্যায়ের জন্যে বাছাই করা হয়েছে। আগামী ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ফেণী জেলা স্টেডিয়ামে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় তারা চাঁদপুর জেলার হয়ে প্রতিযোগিতায় নামবেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু। শনিবার ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি এ প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা যায়, ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে অ্যাথলেটিক্সে প্রান্তিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত এ প্রতিযোগিতা হয়েছিলো। তারপর দীর্ঘ ৪৯ বছরের বিরতির পর চলতি বছর আবারও তা আলোর মুখ দেখেছে। বিশ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, দেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শহীদ শেখ কামালের নামানুসারে গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় ‘শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতাণ্ড২০২৩’।

তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অ্যাথলেটিক্স শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করা এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশ সহ প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশব্যাপী ক্রীড়া আন্দোলনের সৃষ্টির লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।

দেশের ৫০০টি উপজেলা, ৬৪টি জেলা ও ৮টি বিভাগের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ফেডারেশন। গত ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই অ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হয় ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি। গত ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ের খেলার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।

বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় ও চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়রা হলেন : ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত (বালিকা)-- ১০০ মিটার দৌড়ে লামিয়া (চাঁদপুর সদর) ও সুমাইয়া আক্তার (মতলব উত্তর); ২০০ মিটার দৌড়ে মারজানা আক্তার ও সাদিয়া আক্তার (ফরিদগঞ্জ); হাই জাম্প (উচ্চ লাফ)-এ তানিয়া আক্তার ও সুর্বণা আক্তার (চাঁদপুর সদর); লং জাম্প (দীর্ঘ লাফ)-এ তানিয়া আক্তার (চাঁদপুর সদর) ও সুমাইয়া আক্তার নূপুর (হাজীগঞ্জ)। ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত (বালক)--১০০ মিটার দৌড়ে রাকিব হোসেন ও মাহিদ হোসেন (চাঁদপুর সদর); ২০০ মিটার দৌড়ে সাকিব হোসেন (মতলব দক্ষিণ) ও ইয়াছিন (ফরিদগঞ্জ); হাইজাম্প (উচ্চ লাফ)-এ মাজেদুল ইসলাম অর্পূব (মতলব উত্তর) ও রবিউল আউয়াল (ফরিদগঞ্জ) এবং লং জাম্প (দীর্ঘ লাফ)-এ বায়েজিদ (মতলব দক্ষিণ) ও ছাদেক হোসেন (ফরিদগঞ্জ)। ৯ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী (বালিকা) : ১০০ মিটার দৌড়ে সুমাইয়া আক্তার (হাজীগঞ্জ), মারিয়া আক্তার (মতলব উত্তর); ২০০ মিটার দৌড়ে তামান্না আক্তার (চাঁদপুর সদর), আসমানি আক্তার (মতলব দক্ষিণ); ৪০০ মিটার দৌড়ে সুমাইয়া আক্তার (হাজীগঞ্জ), মাসরুন আক্তার (চাঁদপুর সদর); ৮০০ মিটার দৌড়ে আসমানি আক্তার (মতলব দক্ষিণ), মাসরুন আক্তার (চাঁদপুর সদর); ১৫০০ মিটার দৌড়ে ইতি আক্তার (চাঁদপুর সদর), রোজিনা আক্তার (মতলব দক্ষিণ); হাইজাম্প (উচ্চ লাফ)-এ সুমাইয়া আক্তার (চাঁদপুর সদর) ও আমেনা আক্তার (ফরিদগঞ্জ); লং জাম্প (দীর্ঘ লাফ)-এ সুমাইয়া আক্তার (হাজীগঞ্জ), তামান্না আক্তার (চাঁদপুর সদর); ট্রিপল জাম্প (লাফ ধাপ ঝাপ)-এ সুমাইয়া (মতলব দক্ষিণ), নূসরাত জাহান (চাঁদপুর সদর); জেভলিন থ্রো (বর্শা নিক্ষেপ)-এ মীম আক্তার (চাঁদপুর সদর), নাঈমা তাহসিন তমা (ফরিদগঞ্জ); শটপুট (গোলক নিক্ষেপ)-এ মীম আক্তার ও নুসরাত জাহান (চাঁদপুর সদর); ডিসকাস থ্রো (চাকতি নিক্ষেপ)-এ মীম (সদর), নাইমা তাহসিন তমা (ফরিদগঞ্জ) এবং ৪১০০ মিটার রিলেতে তামান্নার ৪ সদ্যসের দল। ৯বম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত (বালক) : ১০০ মিটার দৌড়ে সোহেল রানা ও ছাব্বির হোসেন (মতলব দক্ষিণ), ২০০ মিটার দৌড়ে সোহেল রানা (মতলব দক্ষিণ) ও শুভ হোসেন (হাজীগঞ্জ); ৪০০ মিটার দৌড়ে বোরহান মৃধা (হাজীগঞ্জ) ও মোঃ হামিম (ফরিদগঞ্জ); ৮০০ মিটার দৌড়ে সুকেন চাকমা (চাঁদপুর সদর), গোলাম রাব্বি (মতলব উত্তর); ১৫০০ মিটার দৌড় জেনেট ত্রিপুরা (সদর), রাসেল (হাজীগঞ্জ); হাইজাম্প (উচ্চ লাফ)-এ শাহাদাত হোসেন (ফরিদগঞ্জ), সজীব হোসেন (হাজীগঞ্জ); লং-জাম্প (দীর্ঘ লাফ)-এ শাহাদাত হোসেন (ফরিদগঞ্জ), আলিফ কাজী (মতলব উত্তর); ট্রিপল জাম্প (লাফ ধাপ ঝাপ)-এ আজহার মাহমুদ (সদর), সোলেমান নাদিম (হাজীগঞ্জ); জেভলিন থ্রো (বর্শা নিক্ষেপ)-এ ইমামুদ্দিন শিপন (ফরিদগঞ্জ), আরাফাত হোসেন (হাজীগঞ্জ); শটপুট (গোলক নিক্ষেপ)-এ সাকিব (মতলব উত্তর), রাশেদুল আলম (শাহারাস্তি); ডিসকাস থ্রো (চাকতি নিক্ষেপ)-এ নুরে আলম (হাজীগঞ্জ) ও শান্তি ত্রিপুরা (সদর) এবং ৪১০০ মিটার রিলে বোরহান ও তার দল।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু এ প্রতিবেদককে জানান, বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ গ্রহণের লক্ষ্যে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে প্রত্যেক ইভেন্টের খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলন শুরু করা হবে। তিনি জানান, ৮ উপজেলায় ৫৪০ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। তাদের থেকে সেরা খেলোয়াড়গণ জেলা পর্যায়ে খেলার সুযোগ পান। যারা জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ইভেন্টে টিকেছেন তারাই বিভাগীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবেন। বিভাগীয় পর্যায়ে যারা ভালো করবেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের মাধ্যমে তাদেরকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেয়া হবে। বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতা থেকে ভবিষ্যতের অ্যাথলেট বেরিয়ে আসবে বলে এই কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করে আরো বলেছেন, ‘এখান থেকে ভবিষ্যতের অ্যাথলেট যেন বেরিয়ে আসে সেই চেষ্টায় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়