প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪৪
পৌরসভার স্কুলগুলো বন্ধ ও জনবল কমানোর জোর দাবি

১২৮ বছর বয়সী চাঁদপুর পৌরসভার নিজস্ব আয় খুব একটা বেশি না। পৌর কর দেয়ার ক্ষেত্রে অনেকেই শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছেন। যতোটুকুই আদায় হচ্ছে তা থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং অলাভজনক খাতে ব্যয় হওয়াটা মোটেই সমীচীন নয়। এ উপলব্ধি থেকে বিশিষ্ট পৌর নাগরিকদের মন্তব্য হচ্ছে : চাঁদপুর পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে বেশ ক'টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই খাতে ব্যয় হয় বছরে ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো মানের মধ্যে পড়ে না। আর এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যারা শিক্ষক হিসেবে চাকরি নিয়েছেন তাঁদের কেউই ইন্টারভিউ দিয়ে যোগ্যতা যাচাইয়ে চাকরি নিয়েছেন এমনটাও নয়। তাহলে মানহীন স্কুলে নাগরিকদের বাচ্চাদের পড়িয়ে কেনো প্রজন্ম ধ্বংস করা হচ্ছে? এটা পৌর নাগরিকদের সাথে এক রকম প্রতারণা। কিছু অযোগ্য বেকার লোককে লালন-পালন করা ছাড়া অন্য কোনো লাভ দেখছে না পৌরবাসী। এই শহরে সরকারি-বেসরকারি এতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার পরও পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার কোনো দরকার নাই। তাই পৌরসভার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেয়া দরকার। চাঁদপুর পৌরসভায় প্রয়োজনের তুলনায় জনবল অনেক বেশি। এ পৌরসভায় এতো জনবল থাকার প্রয়োজন নেই। তাই জনবলও কমাতে হবে। এভাবেই বিভিন্ন খাত থেকে ব্যয় সংকোচন করে ব্যয় খাতে বাজেট কমাতে হবে। তাহলে পৌরসভার রাজস্ব আয় থেকে নাগরিক সেবা বাড়ানো যাবে। এ ব্যাপারে পৌর প্রশাসককে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
সোমবার চাঁদপুর পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপস্থিত বিশিষ্টজনদের মধ্য থেকে এই বক্তব্যগুলো আসে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা। তাঁদের এই মতামতকে উপস্থিত অনেকেই সমর্থন জানান।