প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২২, ১৯:০১
জেতা ম্যাচ কঠিন করে হারলো টাইগাররা
শেষ বলে জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭ রান। ৬ মারলে সুপার ওভারে গড়াবে ম্যাচ। বাঁহাতি পেসার আর্শদীপ সিংয়ের সে বলে সমীকরণ মেলাতে পারলেন না ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহানরা। ভারতের বিপক্ষে আরও একটি ম্যাচ জয়ের খুব কাছে গিয়েও পরাজয় বাংলাদেশের।
|আরো খবর
১৮৫ রানের লক্ষ্যে নেমে দলকে দারুণ শুরু দেন লিটন দাস। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুললেই অ্যাডিলেইড ওভালে বৃষ্টির হানা। বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত না থামলে ১৭ রানে জয়ে সেমিফাইনালের পথ মসৃণ হতো বাংলাদেশের। কিন্তু প্রায় ঘণ্টাখানেক পর বৃষ্টি থাকলে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায়। ১৬ ওভারে করতে হবে ১৫১ রান, অর্থাৎ ৫৪ বলে প্রয়োজন ৮৫ রান। শেষের এই সমীকরণ মেলেতে পারেনি বাংলাদেশ।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচ ৫ রানে জিতে গ্রুপ-২ থেকে সেমিফাইনালের পথ দৌড়ে ভারত। সুতোই ঝুলে রইল বাংলাদেশ সম্ভাবনা। বৃষ্টি থামলে তড়িঘড়ি করে ম্যাচ শুরু করার সিদ্ধান্তে আপত্তি ছিল বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের। ভেজা ঘাস না শুকিয়েই মাঠে গড়ায় বল।
বৃষ্টির পর ২৬ বলে ৫৯ রানে ব্যাটিং শুরু করা লিটন ১ রান যোগ করে রান আউটে কাটা পড়েন। ১৬ বলে ৭ রান নিয়ে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ২৫ বলে ২১ রানে। এরপর ভারতীয় বোলারদের তোপে আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দেন সাকিব আলা হাসান, আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেনরা। উল্লাসে ভাসা বাংলাদেশের গ্যালারি্তে নেমে আসে নিস্তব্ধতা।
শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন নুরুল হাসান সোহান ও তাসকিন আহমেদ। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজন গড়েন ৩৭ রান। শেষ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন পড়লে বাঁহাতি পেসার আর্শদীপের থেকে ১৪ রান আদায় করতে পারে বাংলাদেশ। তাতে কাজে আসেনি সোহানের ১৪ বলে ২৫ ও তাসকিনের ৭ বলে ১২ রানের ইনিংস। ৬ উইকেটে বাংলাদশের ইনিংস থামে ১৪৫ রানে। ৫ রানে জয় ভারতের।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরু থেকেই দুর্দান্ত বোলিং তাসকিন আহমেদের। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফেরাতে পারতেন রোহিতকে। ব্যক্তিগত ১ রানে তার সহজ ক্যাচ ছাড়েন হাসান মাহমুদ। ক্যাচ মিস করা হাসানই ইনিংসের চতুর্থ ওভারে আক্রমণে এসে রোহিতকে ফেরান। ৮ বলে ২ রান করে রোহিত ফিরলে ভাঙে ১১ রানের উদ্বোধনী জুটি। পাওয়ার প্লেতে ৩৭ রান তোলে ভারত।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে বিরাট কোহলিকে সঙ্গী করে লোকেশ রাহুল ঝড় তোলেন। আগের ৩ ম্যাচে দুই অঙ্ক ছুঁতে না পারা এই ডানহাতি তুলে নিলেন ফিফটি। পরের বলেই অবশ্য শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৫০ রানে। ৩২ বলের ইনিংসে ৩ চার ৪ ছয়। ১০ ওভারে ২ উইকেটে ভারতের ৮৬ রান।
১৬ বলে ৩০ রান করা সূর্যকুমার যাদবকে আজ বেশি চড়াও হতে দেননি সাকিব। ৫ রান করা হার্দিক পান্ডিয়াকে থামান হাসান। দীনেশ কার্তিক ও অক্ষর প্যাটেল সমান ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। অন্য প্রান্তে কোহলি ৩৭ বলে তুলে নেন ফিফটি। শেষ পর্যন্ত ৪৪ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রানে। ৬ বলে ১৩ রানে অপরাজিত রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হাসান ৩টি ও সাকিব নেন ২ উইকেট।