শুক্রবার, ০২ মে, ২০২৫  |  
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৩ অক্টোবর ২০২১, ২১:০৬

হাজীগঞ্জে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ

সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ : গয়েশ্বর

কামরুজ্জামান টুটুল
সরকার জনগণের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ : গয়েশ্বর

এই সরকার জনগনের নিরাপত্তা দিতে চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা মৌলবাদীর তকমা দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। এই হামলা পরিকল্পিত ভাবে ঘটিয়েছে তারা। গত ১৩ অক্টোবর হাজীগঞ্জে পূজা মন্ডপে হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ মন্ডপগুলো পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে শনিবার সন্ধ্যায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। হাজীগঞ্জ পৌরসভাধীন শ্রী শ্রী রাজা লক্ষ্মী নারায়ন জিউর আড়খা ও শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম পরিদর্শন করেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন তিনি।

এ সময় গয়েস্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, হাজীগঞ্জ বাজারে যখন মিছিল হয় তখন পুলিশ কেন চুপ ছিল। রাত সাড়ে ৮ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুলিশ কোথায় ছিলো। তাদের গোয়েন্দা সংস্থা কোথায় ছিলো। কুমিল্লা নানুয়ার দিঘীর পাড়ে পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননা এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেছে, তা দু:খজনক ও মর্মান্তিক এবং বাংলাদেশের জনগণের জন্য অপমানজনক ও অসম্মানজনক। যে ঘটনাটি ঘটেছে, এই ঘটনা নিয়ে বিশ্বাস যোগ্যতার অভাব আছে এবং সাধারণ লোকজন ও রাজনৈতিক সচেতন, সুশিল সমাজ কেউই এটি বিশ্বাস করতে পারছেনা।

কুমিল্লার ঘটনায় ইকবালকে ধরলো। তারা (সরকার) একবার বলছে সে ভবঘুরে, একবার বলছে মানসিক বিকারগ্রস্থ, আবার বলে মাদকাসক্ত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই ধরনের একটা উন্মাদ প্রকৃতির লোক পবিত্র কোরআন ছিনলো কেমনে, আর কেন এই কোরআন শরীফ মন্দিরে নিয়ে রাখলো? এই রকম একটি ট্রাজেডির পরে আরেকটা ড্রামার মধ্য দিয়ে আশে-পাশের দেশ থেকে বাংলাদেশকে মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী ইত্যাদি আকারে তুলে ধরা হচ্ছে।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরো বলেন, আমি ঢাকা থেকে রওনা দিলে প্রশাসন খবর পায় আমি হাজীগঞ্জে আসছি। কাউকে না জানিয়ে আসলেও খবর পায় আমার গাড়িটা কোন দিক দিয়ে আসছে। আর প্রশাসনের নাকের ডগায় বার বার মিছিল করে এই হামলাগুলো হয়েছে, প্রশাসন চোখে দেখতে পারলোনা কেন? তাদের যে গোয়েন্দা সোর্স আছে এবং এই ছোট্ট জায়গা, এখান থেকে থানায় পায়ে হাঁটার পথ ১০ মিনিট। প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলো কিসের ইঙ্গিতে।

সুতরাং আমি মনে করি, বাংলাদেশ একটা অসাম্প্রদায়িক দেশ এবং এই যে জঙ্গিবাদের তকমা আর মৌলবাদের উত্থানের কথা বলে সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার মধ্য দিয়ে আরো দীর্ঘ সময় তারা (আওয়ামী লীগ) সরকারে থাকতে চায়। তাদের ভোটের কোন বালাই নেই। জনগণের উপর তাদের কোন দায়িত্বও নেই।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন ২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার ছিল। তখন তিনটি বছর গেছে রোজা আর পূজা পাশাপাশি এবং দুই তিন দিনের ব্যবধানে তিনটি বছর গেছে কোরবানীর ঈদ আর পূজা। তখন দেশের কোথাও মসজিদের আজান আর মন্দিরের ঘন্টা নিয়ে বাদ-বিবাদ অথবা কোথাও কোন দূর্ঘটনা ঘটেনি। আজকে কেন এই ঘটনা ঘটলো, অবশ্যই এটা উদ্দেশ্য প্রনোদিত।

বিএনপি নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, হাজীগঞ্জ থানাসহ দেশের যে কয়টা স্থানে মামলা হয়েছে। সেকল মামলায় জ্ঞাতের মধ্যেই সিংহভাগ বিএনপির নেতা-কর্মীর নাম। বিএনপির যে সকল নেতাকর্মীরা মন্দির ও মানুষদের রক্ষা করছে, তাদেরকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। সরকার প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের না করে এবং তাদের আড়াল করার জন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোকে দূর্বল করার জন্য চেষ্টা করছে।

এ সময় তার সফরসঙ্গী ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী ইয়ছিন রশীদ, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমেন্দ্র দাস অপু, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: মোস্তফা মিয়া, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, দেবাশীষ রায় মধু, মোস্তফা খান সফরী, চাঁদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, এ সময় হাজীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম.এ রহিম পাটওয়ারী, পৌর বিএনপির সভাপতি নাজমুল আলম চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল খায়ের মজুমদার, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ নাফের শাহ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বিল্লাল হোসেন,মিজানুর রহমান মিলন,শুকর আলম বেপারীসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়