প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির ১০ দিনের কর্মসূচি
মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি।বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ফখরুল বলেন, দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হলেও এখন পর্যন্ত আমরা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করার কাজটা শুরু করতে পারিনি। প্রাথমিকভাবে অন্তর্র্বতী সরকার তৈরি হয়েছে। তারা দায়িত্ব নিয়েছেন, আমরাই দায়িত্ব দিয়েছি তাদের। তারা প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো করে অতি দ্রুত সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ও সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। সেই লক্ষ্যে তারা এগিয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাদের সমর্থন দিচ্ছি। গোটা দেশের মানুষ তাদের সমর্থন দিচ্ছে।
বিএনপি ৭ নভেম্বর আবার জনগণের সামনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্ম, যারা গত ১৫ বছরে বিকৃত ইতিহাস পেয়েছে, সঠিক ইতিহাস পায়নি, তাদের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য আমরা ৭ নভেম্বর ব্যাপকভাবে পালন করার উদ্যোগ নিয়েছি। দিবসটি উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।
আগামী ৬ নভেম্বর ঢাকায় বুদ্ধিজীবীদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা, ৭ নভেম্বর সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১০টায় দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ, ৮ নভেম্বর দুপুর ৩টায় ঢাকায় ও জেলায় জেলায় র্যালি এবং বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে।
এ ছাড়া পোস্টার ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ, দেশব্যাপী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভাসহ অন্যান্য কর্মসূচি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে। ৭ নভেম্বর জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) উদ্যোগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিভাগীয় শহরগুলোতেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। পাশাপাশি ডকুমেন্টারি (ভিডিও, স্থিরচিত্র) প্রকাশ করা হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।