প্রকাশ : ২৩ জুলাই ২০২৪, ২২:০৪
চাঁদপুরে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি : জসিম উদ্দীন খান বাবুল
চাঁদপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তাদের দলীয় কার্যালয় ও সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবন পরিদর্শন করেছেন। গত ১৯ জুলাই শুক্রবার সকাল দশটায় চাঁদপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি জসিম উদ্দীন খান বাবুল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেলিমুছ সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির চৌধুরী ও চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝির নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনাগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।
|আরো খবর
এ সময় জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সহ-সভাপতি জসিম উদ্দীন খান বাবুল বলেন, গত ১৮ জুলাই বিএনপির কোনো কর্মসূচি ছিলো না। কী কারণে, এমন কী হয়েছে যার জন্যে আমাদের জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এবং জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবন হামলা করে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হলো? সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক দেশে নেই, চিকিৎসার জন্যে দেশের বাইরে গেছেন। তাঁর বাড়ি পোড়ানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এই হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে। বাবুল খান আরো বলেন, জনগণের বিপক্ষে চলে গেছে সরকার। সে জন্যে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি-ঘরে হামলা ও আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। চাঁদপুরে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসায় এভাবে আগুন লাগানো কোনো মানুষের কাজ হতে পারে না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাই এবং তদন্তপূর্বক ন্যাক্কারজনক এ ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।
এ সময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফেরদৌস আলম বাবু, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডঃ হারুনুর রশিদ, অ্যাডঃ সামছুল ইসলাম মন্টু, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজালাল মিশন, দপ্তর সম্পাদক হযরত আলী ঢালী, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ আঃ কাদির বেপারী, প্রচার সম্পাদক শরিফ উদ্দিন আহমেদ পলাশ, জেলা যুবদলের সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক, জেলা কৃষক দলের সভাপতি এনায়েত উল্যাহ খোকন, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাদল, সাধারণ সম্পাদক হাবিব ভূঁইয়া, জেলা মহিলা দলের সহ-সভাপতি অ্যাডঃ কোহিনুর রশীদ, জেলা তাঁতীদলের আহ্বায়ক আলী আহম্মদ সরকার সদস্য সচিব মজিবুর রহমান লিটন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সরোয়ার গাজী, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ মাঝি, আরেফিন খানসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
চাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন মাঝি সাংবাদিকদের এ সময় বলেন, ওইদিন ছাত্রদের আন্দোলন ছিলো। মাগরিবের নামাজের পর থেকে কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছে অর্থাৎ বর্তমান সরকার দলীয় লোকজন লাঠিসোটা ও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে বিএনপির বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের বাসায়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করেছে। চক্ষু হাসপাতালের কাছে ইব্রাহিম কাজী জুয়েলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, তার দুইজন আত্মীয়কে আহত, গুয়াখোলায় জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল গাজী বাহারের বাসায় হামলা এবং ছাত্রদলের প্রিন্সের ওয়াইফাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করা হয়েছে। রাত আটটার পর সন্ত্রাসীরা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করে কালীবাড়ির দিকে চলে যায়। সেখান থেকে ফেরত এসে জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাসভবনে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তারা এসব করার পর আগুন দিয়ে বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়।