স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা

চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে তাঁর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন নেতৃবৃন্দ। আজ ১০ জানুয়ারি সকালে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে এই মহান নেতার প্রতি এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ । এ সময় আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ সরদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক শাহআলম,আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলাম মিয়াজী,মঞ্জু মাঝি,সিদ্দিকুর রহমান ঢালীসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী। এর আগে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ১০ই জানুয়ারি বাঙালি জাতির জন্য ঐতিহাসিক একটি দিন।স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।দীর্ঘ ৯ মাসের স্বশস্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে একসাগর রক্তের বিনিময়ে বিজয় অর্জনের পর ১৯৭২ সালের এই দিনে পাকিস্তানে দীর্ঘ কারাবাস শেষে সদ্য স্বাধীন ও স্বার্বভৌম বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা,স্বাধীনতাসংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে আসার মধ্যদিয়েই বাংলাদেশের বিজয়ের পূর্ণতা পায়। ‘পাকিস্তানিদের পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় অর্জন করি। তবে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে আমাদের বিজয়ও ছিল অসম্পূর্ণ। বিজয়ের মহানায়ক নেই, বিজয়ও যেন অনুপস্থিত। ১০ জানুয়ারি যখন তিনি এলেন, তখনই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় পূর্ণতা পেল।’ তিনি বলেন, ‘৭৫ সালে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আবারো উল্টো পথে যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘ ২১টি বছর দেশ আবারো পাকিস্তানি ও সাম্প্রদায়িক ধারায় চলে যায়। নানা ঘাত-প্রতিঘাত, ষড়যন্ত্র, রক্তপাত ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে পদে পদে নানা চ্যালেঞ্জ আমরা অতিক্রম করেছি। ’তিনি বলেন, আজকের দিন আমাদের অঙ্গীকার, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে। এই বিজয়কে সংহত করে, বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা অভিমুখে আমাদের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।