শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে বিজয়ী করতে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীদের বিজয় করার লক্ষ্যে এবং ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল ৯ ডিসেম্বর শনিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জেলা সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু নঈম পাটোয়ারী দুলালের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতির বক্তব্যে নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আমাদের স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠন করা এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন সারথী হওয়া। সেই লক্ষ্য নিয়ে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে এবং নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।

তিনি বলেন, এই নৌকাকে আমরা বলি হক ভাসানীর নৌকা, এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর নৌকা, এই নৌকা আওয়ামী লীগের নৌকা, এই নৌকা শেখ হাসিনার নৌকা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ স্বাধীনতা বিরোধী চক্র আজও দেশবিরোধী অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নানামুখী চক্রান্ত করে যাচ্ছে। দেশবিরোধী এই চক্রান্ত মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। স্বাধীনতা বিরোধী যারা মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। অনেক মূল্য দিয়ে কেনা আমাদের স্বাধীনতা।

তিনি আরও বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ। বাংলার মানুষ আজকে ঐক্যবদ্ধ। আজকে দেশ তারই নেতৃত্বে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আমরা রাজনীতি করি দেশের উন্নয়নের জন্য। আওয়ামী লীগ মাটি ও মানুষের দল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এদেশের সব মানুষের উন্নয়ন হবে। ত্যাগেই আনন্দ, ভোগে আনন্দ নেই। আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নেতা, আমরা সবাই তাঁর কর্মী। যে পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল, তারা আবার দেশকে পিছিয়ে দিতে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, সাংগঠনিক নিয়ম মেনে সকলকে চলতে হবে। রাজনীতিতে শিষ্টাচার না থাকলে দল সুসংগঠিত হবে না। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবেৃন্দের দিক-নির্দেশনায় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজগুলো করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, নৌকা ভাষার অধিকার দিয়েছে। নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করে যাচ্ছে। নৌকা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে, যখন নৌকা মার্কায় আমরা ভোট পেয়েছি। কাজেই এ নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য আমাদের উন্নয়নের কথাগুলো আপনারা প্রতিটি গ্রামে, প্রতি ঘরে, প্রতি পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবেন। কারণ মানুষকে বলতে হবে। মানুষ সুখ পেলে কিন্তু দুঃখের দিনের কথা ভুলে যায়। এ সুখটা পেল কীভাবে, সেটা আপনাদের মনে করিয়ে দিতে হবে আপনাদের বলতে হবে, একমাত্র আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় এবং পরিবর্তন হবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, আব্দুর রশিদ সরদার, সন্তোষ কুমার দাস, আব্দুর রব ভূঁইয়া, মনজুর আহমেদ মনজু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ আখন্দ, অ্যাডঃ জহিরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহির হোসেন পাটওয়ারী, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ রুহুল আমিন সরকার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়াজী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু নাসের বাচ্চু পাটোয়ারী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, কোষাধ্যক্ষ আহসান হাবীব অরুণ, উপদেষ্টা কমিটির সদস্য মধু পোদ্দার, জেলা কমিটির সদস্য অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণ, আবু সাহেদ সরকার, অ্যাডঃ জসিম উদ্দিন মিঠু, শরীফ পাটওয়ারী প্রমুখ।

আলোচনা শেষে দলীয় বেশ কিছু সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত সমূহের মধ্যে রয়েছে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে নৌকা বিজয়ের লক্ষ্যে আসনভিত্তিক জেলা নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে কমিটি গঠন, সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা।

১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে।