প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৪১
সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী দল বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে : পৌর মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার
মতলব উত্তর উপজেলায় ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিএনপি, জামায়াত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের ২৮ অক্টোবর পল্টনে পুলিশ হত্যা, মসজিদে আগুন, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, সাংবাদিক এর উপর হামলা ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সকালে ছেংগারচর সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে মিছিলটি বের হয়ে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা প্রদক্ষিণ করে পুনরায় ছেংগারচর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ প্রাঙ্গনের শহীদ মিনারে সমাবেশে রুপান্তরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, ছেংগারচর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসক উপ-কমিটির সদস্য লায়ন মো. আরিফ উল্যাহ সরকার।
উপজেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক রেফায়েত উল্যা দর্জির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আল মাহমুদ টিটু মোল্লা, পৌর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শরীফ উল্যাহ সরকার, পৌর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর শাহজাহান মোল্যা, কাউন্সিলর আমান উল্যাহ সরকার, মো. হারিছ খাঁন, সবুজ মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মো. বোরহান উদ্দিন, শাহজালাল মুফতি, নূর বেপারী, ছেংগারচর বাজার বণিক সমবায সমিতিরি সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ লস্কর, ছেংগারচর কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, পৌর যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান মুফতি, যুবলীগ নেতা রাসেল দর্জি, মিল্টন সরকার, আরিফ উল্যাহ শিকদার, ইব্রাহিম লস্কর, ফয়েজ আহাম্মেদ ফাকা, সাইদুর রহমান ঢালী লিটন, সবুজ সরকার, হারুন, পৌর ছাত্রলীগ নেতা রিফাত বাবু, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আলভি শাকিল, সিয়াম ও হিমেল সরকার প্রমুখ।
এসময় ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী, সোয়াইব, মেহেদী হাসান লিমন, জাহিদ হাসান, নাজির আহমেদ আকাশ, কামরুল হাসান, মারুফ, মাহিন, নূরে আলম, নাহিদ, মুজাম্মেল, হাবিব, জাকারিয়া, জাহিদ, রাব্বি সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির পৌর মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও তাদের চিরচেনা সন্ত্রাসী রূপ দেখিয়েছে। এমনকি তারা গাড়িতে আগুন দিয়ে জনগণের জানমালের ক্ষতি করেছে। বিএনপি-জামায়াতের যে কোনো ধরনের অরাজকতা, নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে আমরা মাঠে থাকব।বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্য প্রতিহত করবে ছাত্রলীগ।
আরিফ উল্যাহ সরকার বলেন, সাধারণ মানুষ সন্ত্রাসী দল বিএনপির ডাকা হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। আমাদের ছাত্রসমাজ বিএনপির এই হরতাল এবং নৈরাজ্য রুখে দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে আমরা তাদেরকে কঠিন ভাবে প্রতিহত করব।
মেয়র আরিফ উল্যাহ সরকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে ছাত্রলীগের আপসহীন। বিএনপি বরাবরই ধ্বংসাত্মক রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য, অপরাজনীতি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রই বিএনপির মূল চালিকাশক্তি। বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য প্রতিহত করতে ও দাঁতভাঙা জবাব দিতে ছাত্রলীগ সবসময় প্রস্তুত থাকবে।