প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৪৭
চাঁদপুরে অবরোধ কর্মসূচি সফল করার আহবান : অ্যাডঃ সলিমুল্লাহ সেলিম
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিমুল্লাহ সেলিম দাবি করেছেন, জনগণের স্বর্তঃস্ফূত অংশগ্রহণে রোববার চাঁদপুরে সর্বাত্মক হরতাল পালিত হয়েছে। হরতালের সময় দলের নেতা কর্মীরা রাজপথে ছিলো।
|আরো খবর
সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালনের পর আজ ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
তিনি সোমবার চাঁদপুর কন্ঠেকে এ তথ্য জানিয়ে বলেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের বাধার মুখেও আমাদের নেতাকর্মীরা চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে হরতালের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে মিছিল ও পিকেটিং করেছে।
হরতাল প্রতিরোধের নামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিনা উস্কানিতে আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীর ওপর হামলা ও আহত করেছে। তাদের হামলায় যুবদল নেতা বাহার, সম্রাট, ইউসুফ মিয়াজী, বিএনপি নেতা জাফর আহমেদ জিতুসহ আরো অনেককে আহত করা হয়।
হরতালের দিনে পুলিশ ফরিদগঞ্জ থেকে ৭ জনসহ বিএনপির ১৩জন নেতাকর্মিকে আটক করা হয়েছে ।সোমবার দলীয় কার্যালয়ে বসার কারণে হাজীগঞ্জে পাঁচজন ও কচুয়া থেকে বিএনপি'র ৭ জন নেতা কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে তথ্য পেয়েছেন। নতুন করে হয়রানিমূলক মামলা দেয়ার পাঁয়তারা চলছে।
এছাড়া ২৮ তারিখ ঢাকার মহাসমাবেশে যোগ দেয়ায় আলহাজ্ব এম এ হান্নান সহ ফরিদগঞ্জ ও চাঁদপুরের আরো অনেক নেতাকর্মীকে পুলিশ অন্যায় ভাবে গ্রেফতার করে। আমরা চাঁদপুর জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে পুলিশী হয়রানি, গ্রেফতার বন্ধ ও আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি ।
এডভোকেট সেলিম বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশি বাধা ও বিএনপি মহাসচিবসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনে চাঁদবাসীকে পথে নেমে আসার আহবান জানানো হয়েছে। এ কর্মসূচির মধ্যে সড়ক, রেল ও নৌপথ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
হরতালের ন্যায় অবরোধ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নে চাঁদপুরের সর্বস্তরের জনগণ ও দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
এডভোকেট সেলিম জানান, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিগত ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত চাঁদপুরে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে প্রায় সাড়ে ৪'শ মামলা দায়ের করা হয়।কিছু মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার পর এখন মামলা চলমান প্রায় ৩৬৫ টি।মিথ্যা ও হয়রানিমূলক এসব মামলায় বিএনপির প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।