প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৩, ২০:২৫
মতলব উত্তরে জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত
চাঁদপুরের মতলবে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) বেলা ৯ টায় মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের লুধুয়ায় এ উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্ত্বে ও সাধারন সম্পাদক নূরুল হক জিতুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.মোঃ জালাল উদ্দিন।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মতলব উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মতলব পৌর সভার সাবেক মেয়র এনামূল হক বাদল ,মতলব পৌর বিএনপির সভাপতি সোয়েব সরকার,মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর সরকার, ছেংগারচর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান প্রমূখ।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার হলো ফেসিস সরকার, এ সরকার আমাদের নেতৃ বৃন্দের অহেতুক জেল জুলুম, অত্যাচার, নিপিড়ন ও নাজেহাল করে আসছে, সময় আর বেশী নাই, একটু ধর্য্য দরুন, সামনে ভাল সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আল্লাহ তায়ালা বেহেস্ত নসিব করুন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি ও দীর্ঘয়ূ কামনা করার আহবান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গনি তফাদার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম সাগর, মতলব উত্তর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মনজুর আমিন স্বপন, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরদার, মতলব পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাবেক ভিপি জাকির হোসেন,দূর্গাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মফিজুল ইসলাম, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ পাটোয়ারী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মুজাহিদুল ইসলাম কিরন, মতলব উত্তর উপজেলা যুবদলের সভাপতি খায়রুল হাসান বেনু,সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান টিপু, মতলব পৌর যুবদলের আহবায়ক মুজিবুর রহমান সরকার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্র দলের সাবেক সভাপতি মিরান হোসেন মিয়াজী সহ অসংখ্য নেতা কর্মী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড.মোঃ জালাল উদ্দিন বলেন, সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে নির্মমভাবে হত্যা করে। শহীদ জিয়ার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশে যখন শান্তি ও উন্নয়নের সুবাতাস এবং সমৃদ্ধ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সময়ে গণতন্ত্রের কবর রচনা করে নতুন করে বাকশাল কায়েমই ছিল এই হত্যাকান্ডের কারণ। শহীদ জিয়াকে হত্যা করে যারা দেশ থেকে জাতীয়তাবাদী চেতনাকে উপড়ে ফেলতে চেয়েছিল তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী অবৈধ সরকার শহীদ জিয়ার অবদানকে অস্বীকার করে জিয়া পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে সুগভীর ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগের সে ইচ্ছা কোন দিন পূরন হবে না। আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করবো। দেশে ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবো।
তিনি আরোও বলেন,আওয়ামী লীগ সরকার হলো ফেসিস সরকার। এ সরকার আমাদের নেতৃবৃন্দে কে অহেতুক জেল জুলুম, অত্যাচার, নিপিড়ন ও নাজেহাল করে আসছে। সময় আর বেশী নাই। একটু ধর্য্য দরুন। সামনে ভাল সময় আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে আল্লাহ তায়ালা বেহেস্ত নসিব করুন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি ও দীর্ঘয়ূ কামনা করার আহবান জানান তিনি।
আলোচনা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।