প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩৯
চাঁদপুরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলায় ২৬ মার্চ রোববার যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ অঙ্গীকার পাদদেশে ৩১ বার তোপধ্বনি মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়।
|আরো খবর
সকাল সাড়ে ৭টায় পুস্পস্তবক অর্পণ করেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি ,জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার, মুক্তিযুদ্ধা সংসদ চাঁদপুর জেলা ইউনিট, সিভিল সার্জন ডাঃ মুহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল,জেলা বিএনপি পক্ষে সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট সলিমুল্লাহ সেলিমসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, প্রশাসন, রাজনৈতিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সকাল ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন আয়োজনে জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস এবং বিএনসিসির সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। সকাল সাড়ে ৯ টায় চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি।
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম-বার, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চাঁদপুর জেলা ইউনিট কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ ওয়াদুদ, স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী,চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাস, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কুমার মজুমদার, প্রেসক্লাব সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবু পাটোয়ারী, লিয়াকত মাষ্টারসহ অতিথি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া সকালে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বাদ জোহর সুবিধামতো সময়ে জাতির শান্তি সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির ও গির্জা অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা, সুবিধামতো সময়ে হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু পরিবার ও এতিমখানায় উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন, সুবিধামতো সময়ে মহিলাদের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত হচ্ছে।