প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২২, ১৬:৫৬
উৎসবমুখর পরিবেশে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় চাঁদপুরে ও উৎসব মুখর শান্তি পূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হলো চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন। ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা ইভিএম পদ্ধতিতে এ ভোটগ্রহণ করা হয়। তবে ভোট দিয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সামগ্রীক দিক বিবেচনায় এবারের চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচন ছিলো অত্যান্ত শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর। তবে নির্বাচন কে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ব্যবস্থার কারণে জেলা রিটানিং অফিসারের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কোথায় ও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। শুধু তাই নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর ভুমিকার কারনে ভোট কেন্দ্রের চারদিক ছিলো নিরাপওা বেষ্টনীর ভেতর। ফলে প্রার্থীদের সমর্থকদের মুহু মুহু শ্লোগানে মুখরিত ছিলো নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাহিরে।
|আরো খবর
এরমধ্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চাঁদপুর জেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও প্রশাসক আলহাজ ওচমান গনি পাটওয়ারী (মোবাইল) প্রতীক ও প্রবাসী জাকির হোসেন প্রধানিয়া (আনারস) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর সাধারণ সদস্য ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ১২ জনসহ ৪৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল হোসেন জানান, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর।সেই হিসেবে আমরা চেষ্টা করেছি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। আমার মনে হয় আমরা তাতে সফল হয়েছি।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পুলিশ, বিজিপি ও আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। পাশাপাশি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। প্রতিটি উপজেলায় ২টি করে ৮টি উপজেলা পরিষদে ১৬টি কক্ষে ৩টি করে সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
এদিক সকাল ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলা কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ। তারা ভোটকেন্দ্রের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন।
অপর দিকে ভোট কেন্দ্রগুলোর ভেতরের পরিবেশ নিরোত্তাপ থাকলেও বাইরের পরিবেশ ছিলো বেশ উৎসব মুখর। কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকরা ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষনে নানারকম শ্লোগান দিতে দেখা যায়। তবে উভয়ের মাধ্যে সৌহার্দ্য ছিলো লক্ষনীয়।
বেলা ২টার বাজার সাথে সাথে সমাপ্তি ঘোষণা করা হয় ভোটের। প্রায় ১ ঘন্টার মধ্যে সকল ভোটারদের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জেলার কোথায় ও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সবশেষে জেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয়েছেন মোবাইল প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব ওছমান গনি পাটোয়ারী, প্রাপ্ত ভোট ৭৩৮ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাকির হোসেন প্রধানিয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫২৩ ভোট।