প্রকাশ : ২৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
মানুষ বেশি ভালোবাসে বিবর্তন! প্রকৃতিগত বিবর্তন নিয়মের সৌন্দর্য।
পাখির শারীরিক বিবর্তন হয়, এনা কোন্ডা, বানর, পশুপতি, ফুল এদের শারীরিক বিবর্তন হয়। মানুষ শুধু শারীরিক এবং মানসিক বিবর্তনযোগ্য প্রাণী।
আজ যা সৃষ্টি কাল তা ধ্বংস হবে, প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু মনের বিবর্তন চর্চা মানুষ ব্যতীত কারো নেই। মানুষে মানুষে আজকের সম্পর্কগুলো, প্রাচীন খোলস ছেড়ে স্বার্থবাদের উড়ালপঙ্খী!
এর দায়ভার পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং অবশ্যই রাজনৈতিক শিষ্টাচার।
এখন নাকি সব পারসোনাল ম্যাটার। এমন একটা কালো ধোঁয়া আকাশে-বাতাসে। ব্যক্তির নেই ব্যক্তিত্ব, সমাজেরও নেই কোনো গঠনমূলক চরিত্র।
মানসিক বিবর্তনে বিষাক্ত নখের আঁচড়ে গুলিয়ে যাচ্ছে সভ্য সংস্কৃতি।
ধার করা সংস্কৃতি নিয়ে উত্তাল জেনারেশন। আমরা ভালোটা গ্রহণ করি মনে না রাখার জন্যে, খারাপটা গ্রহণ করি পোষণ করার জন্যে।
যেমন খুশি তেমন করে ভালো থাকার জন্যে এক ধরনের প্রবাহ, পরতে পরতে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে এই বিবর্তন।
‘সৃষ্টিকর্তা প্রভু’র পাদপদ্মে কে কোন্ নামে ডাকে, বা কার ভক্তি আমলনামা কেমন, তা নিয়ে আমার কোনো কথন নেই। তিনি-ই ভালো জানেন, কার ডাকে তিনি সাড়া দেন, কার ডাকে তিনি কাঁদেন।
আমি ছোট মানুষ। এতোটুকু বুঝি...., স্বার্থ ছোট করলে বা উভয় দিক করলে মানবিকতা বাড়ে, সৌহার্দ্য বাড়ে।
এতো অস্থিরতা আর বিবর্তনে, সঞ্চিত সুখ আজ মনে হয়, দূর দ্বীপ বাসিনী।
অন্ধকার কুঠিরে বা ধূলির ধূলায় একদিন মিলিয়ে যাওয়া এই মানুষের এতো কী প্রয়োজন!
একটা গান শুনছিলাম,
রাঁধা বল্লভ সরকারের...
‘ও ভাই মনাই সওদাগর, তোমার কোথায় বাড়িঘর?
আইছো হাটে কতো চালান লইয়া রে?
যাইবা তুমি কি সদাই লইয়া?’
যাক, ভারি কথায় গেলাম না। আমার প্রশ্ন- বিবর্তন কেন পজিটিভ মানসিকতায় দেখি না? ধনী আত্মীয় গরিব আত্মীয়ের খবর নেয় না, ধনী ভাই কেনো গরিব বোনের খবর রাখে না। হরহামেশাই দেখি, সন্তানের কাছে মাতা-পিতা বোঝা!
এ সমাজ সুন্দর দেখতে চাইলে আমাদের আত্মসমালোচনা বেশি প্রয়োজন। রুচিবোধ পাল্টানো দরকার।
কারো একান্ত ব্যক্তিগত প্যাভিলিয়নে অধিকার ছাড়া কেউ এন্ট্রি নেয় না, আমি সাতপাঁচ না ভেবেই দু-চার কথা আওড়াই, কাউকে উদ্দেশ্য করে নয়। সামগ্রিক একটা অস্থিরতা, একটা অসহিষ্ণু বিবর্তন চোখে পড়ে।
আমাকে নির্বাক করে তোলে। আমাকে বাক্রুদ্ধ করে তোলে।
আমি স্বপ্ন দেখি, আমি স্বপ্ন সাজাই-
‘এমন যদি হতো
আমি পাখির মতো
উড়ে উড়ে বেড়াই সারাক্ষণ...’
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করি।