প্রকাশ : ২৩ মে ২০২৪, ০০:০০
এলাকায় মূল্যায়ন নেই, অথচ--

‘কানাডায় তেল ও গ্যাস কোম্পানির বিশেষ উপদেষ্টা ফরিদগঞ্জের শেখ সাজ্জাদ রশিদ সুমন’ এমন শিরোনামে চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে কৌতূহলী পাঠকমাত্রই থমকে দাঁড়িয়েছেন। সংবাদটিতে প্রবীর চক্রবর্তী লিখেছেন, কানাডার বিখ্যাত তেল ও গ্যাস কোম্পানি ঈগলস্লেজ এনার্জি লিমিটেডের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়েছেন ফরিদগঞ্জের কৃতী সন্তান, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা জিএম কাদেরের বৈদেশিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা শেখ সাজ্জাদ রশিদ সুমন। সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসন থেকে জাতীয় পার্টির হয়ে লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করেন সুমন। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সন্তান বাংলাদেশের সাবেক ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ও প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট এমএ রশীদ এবং অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের প্রথম মহিলা কমিশনার মমতাজ রশীদের কনিষ্ঠ পুত্র। শেখ সাজ্জাদ রশিদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শীর্ষস্থানীয় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেছেন। পাশাপাশি তিনি ঢাকায় যুক্তরাজ্যের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকেও দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। এছাড়া তিনি কানাডায় তেল, ডিজেল, জেট জ্বালানি শোধনাগার এবং সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট ফ্যাসিলিটিতে অর্থ বিনিয়োগ করেছেন। তিনি জানান, ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশের ভ্যানকুভারে অবস্থিত বিশ্বের তৃতীয় স্থান অধিকারী খনিজ তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ দেশ কানাডার ঈগলস্লেজ এনার্জি লিমিটেডের কার্যকরী মূলধন বিনিয়োগ প্রথম পর্যায়ে আনুমানিক ৪৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, পরবর্তী পর্যায়ে আরও ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূলধন বিনিয়োগ যোগ করা হবে। তাদের তেল শোধনাগার প্ল্যান্টটি দৈনিক ৩০ হাজার বিপিএসডি ব্যারেল ডিজেল, পেট্রোল এবং জেট ফুয়েল উৎপাদন করবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ সাজ্জাদ রশিদ সুমনকে চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন দিয়ে তাঁর দল জাতীয় পার্টি যথার্থ মূল্যায়ন করেছে। কিন্তু নির্বাচনে তিনি প্রত্যাশিত পরিবেশ না পেয়ে নিজেকে মেলে ধরতে না পেরে গুটিয়ে নিয়েছেন। ফলে এলাকাবাসী তাঁকে মূল্যায়ন করার সুযোগ পায় নি। অথচ তাঁর যোগ্যতাকে যারা মূল্যায়ন করার তারা ঠিকই করেছেন। তিনি কানাডায় তেল ও গ্যাস কোম্পানির উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। এতে নিঃসন্দেহে তিনি তাঁর পৈত্রিক ভূমি ফরিদগঞ্জকে সম্মানিত করেন নি, বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। আমরা তাঁর এমন সম্মানজনক নিয়োগের জন্যে তাঁকে অভিনন্দন জানাই এবং তাঁর অশেষ শুভ কামনা করি।