বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ৩৩ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২৪

নিজেরাই তদন্ত করবেন নিজেদের অনিয়ম

পাপ্পু মাহমুদ
নিজেরাই তদন্ত করবেন নিজেদের অনিয়ম

হাজীগঞ্জে খাদ্য পরিদর্শকের অনিয়মের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেই তদন্তের ভার পেলেন নিজেরাই। হাজীগঞ্জ উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক মুহাম্মদ খোরশেদ আলম নিয়মিত অফিসে অনুপস্থিত থেকেও মাসের পর মাস সরকারি বেতন-ভাতা তোলার অভিযোগে এলাকায় তীব্র সমালোচনা তৈরি হয়েছে। ঢাকায় বসবাস করলেও মাসে একদিন হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিয়ে পুরো মাসের হাজিরা নিশ্চিত করতেন তিনি। অথচ কর্মস্থল হাজীগঞ্জের অফিসে তাকে পাওয়া যেতো না দীর্ঘদিন।

এ নিয়ে চাঁদপুর কন্ঠে 'অফিস করেন না খাদ্য পরিদর্শক বেতন ভাতা নেন নিয়মিত' শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার জন্ম হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জায়েদ হোসেন বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পত্রে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ফারজানা মিলিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

এই অনিয়মের বিষয়টি দীর্ঘদিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, এর জন্যে প্রত্যক্ষভাবে দায়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারজানা মিলি। তার দায়িত্বই ছিলো খাদ্য পরিদর্শকের হাজিরা তদারকি করা এবং নিয়মিত অফিসে উপস্থিতি নিশ্চিত করা। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্ব পালন না করে অবহেলা করেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

সচেতন মহল বলছে, এটি আসলে প্রশাসনিক প্রহসন ছাড়া কিছু নয়। একজন অভিযুক্ত কর্মকর্তাকেই তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে প্রকৃত সত্য আড়াল করার চেষ্টা চলছে। তারা মনে করেন, খাদ্য পরিদর্শকের অনুপস্থিতি এবং খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অবহেলা দুটিই প্রশাসনিক শৃঙ্খলার জন্যে হুমকি। তাদের দাবি, অবিলম্বে নিরপেক্ষ ও উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়