শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০১ মে ২০২৪, ০০:০০

যদি কাজটি করতে পারে পুলিশ

অনলাইন ডেস্ক
যদি কাজটি করতে পারে পুলিশ

চাঁদপুর টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের ফ্যামিলি আড্ডায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএমণ্ডবার জানিয়েছেন, চাঁদপুর জেলায় প্রায় ১৭শ’ মাদকসেবী শনাক্ত করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) বলেন, শনাক্তকৃত মাদকসেবীদের যদি মোটিভিশনের মাধ্যমে সুপথে ফিরিয়ে আনা যায়, তবে তা সমাজ তথা দেশের জন্যে মঙ্গল। কারণ মাদকের চাহিদা কমাতে পারলে যোগান এমনিতেই কমে যাবে। খুব সহসাই তালিকাভুক্ত মাদকসেবীদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে চাঁদপুর জেলা পুলিশ কাজ শুরু করবে।

একসময় আমাদের দেশের পুলিশ 'থার্ড ডিগ্রি মেথড' তথা ধরপাকড় ও মারধরের মাধ্যমে অপরাধ দমনের অভ্যস্ততায় ছিলো আক্রান্ত। এসপি, ওসি, দারোগা পদের পুলিশ কর্মকর্তারা ছিলেন রুদ্ররূপী মূর্তিমান আতঙ্ক। আজ 'জনতাই পুলিশ, পুলিশই জনতা' কনসেপ্টে পুলিশ সময়ের চাহিদায় অনেক পাল্টেছে। পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়, মানবাধিকার রক্ষার প্রয়াসে পূর্বের তুলনায় হয়েছে অনেক মানবিক। চাঁদপুরের প্রথম নারী পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার নিজ অফিসে অসহায় মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক সমাধানের প্রয়াস চালানোর কারণে কিংবা সালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করে দেয়ার কারণে থানা ও আদালতে মামলার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গিয়েছিল। বর্তমান পুলিশ সুপার সমাজের বড়ো সমস্যা মাদক কমাতে কেবলই ধরপাকড়ে শায়েস্তার পথে না গিয়ে মাদকসেবীদের শনাক্ত করে তাদেরকে শোধরাতে মোটিভেশনের যে উদ্যোগ নিয়েছেন, সেটা যেমন মাদক সংক্রান্ত ভুরি ভুরি মামলার পরিমাণ কমাবে এবং মাদক নির্মূল বা টেকসই নিয়ন্ত্রণের দিকে কার্যকরভাবে এগুবে। সারা পৃথিবী চলে ডিমান্ড (চাহিদা) অনুযায়ী সাপ্লাই (জোগান বা সরবরাহ) থিওরিতে। চাঁদপুরের মাদকসেবীদের যদি মোটিভেশনের মাধ্যমে মাদক থেকে দূরে সরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা যায়, তাহলে মাদকের ডিমান্ড বা চাহিদা কমবে, মাদক ব্যবসায়ীরা জোগান দিতে না পেরে তাদের ব্যবসায় নিরুৎসাহিত হবে। তাদের সাপ্লাই চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। মোটিভেশনের ন্যায় কষ্টকর কাজটি যদি চাঁদপুরের পুলিশ বর্তমান এসপির নির্দেশনায় করতে পারে, তাহলে সেটি হবে ব্যতিক্রম। আমরা কোনো ধরনের নেতিবাচক ধারণার বশবর্তী না হয়ে এমন ব্যতিক্রম কাজটি খুব দ্রুত শুরু হোক এবং সফলতায় পর্যবসিত হোক--এমন প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়