শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০

আবার দিনের বেলায় চুরি?

অনলাইন ডেস্ক
আবার দিনের বেলায় চুরি?

চাঁদপুর শহরে দিনের বেলা বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে চুরির প্রকোপ একসময় ব্যাপকভাবে বাড়লেও গত ক' মাস ধরে সেই প্রকোপ দেখা যাচ্ছিল না। এর কারণ জনতার হাতে উপর্যুপরি দিনের বেলার চোর ধরা পড়া এবং গণধোলাই খেয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ হওয়া। এতে দিনের বেলার চোরেরা থমকে গিয়েছিল। কিন্তু না, সময়ান্তরে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আবার চুরি শুরু করেছে।

শনিবার চাঁদপুর কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় 'প্রবাসীর ভাড়াবাসায় দিনের বেলা দুর্র্ধষ চুরি' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর শহরের পালবাজারে বড় মুদির দোকানে চুরির ঘটনার রেশ না কাটতেই এবার বিষ্ণুদী ব্যাংক কলোনী মোড়ে আব্দুর রহমান ভিলা নামক ফ্ল্যাট বাড়ির ভাড়াটিয়া এক প্রবাসীর ঘরে দিনের বেলা চুরির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার সকালে ওই বাড়ির কুয়েত প্রবাসীর ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙ্গে চোর ভিতরে প্রবেশ করে এবং সবকিছু তছনছ করে আলমিরা থেকে নগদ বিশ হাজার টাকাসহ প্রায় ছয় ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। ঘটনার সময় প্রবাসীর স্ত্রী তার বাবা অসুস্থ বলে তাকে দেখতে বাসার বাইরে ছিলেন। আশেপাশে সিসি ক্যামেরায় চুরির ঘটনা রেকর্ড থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। এই ঘটনায় এলাকাবাসী আতঙ্কিত।

দিনের বেলার এই চোর চক্রকে শনাক্ত করা র ব্যাপারে চাঁদপুরে পুলিশের সাফল্য খুব বেশি নেই। রাতে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের টহল কার্যক্রমে চাঁদপুর শহরের অধিকাংশ এলাকা দিনের চেয়ে বেশি নিরাপদ থাকে। সেজন্যে এক পুলিশ সুপার (বখতিয়ার আলম) তো মন্তব্যই করেছেন, ‘দিনের চাঁদপুরের চেয়ে রাতের চাঁদপুর অধিক নিরাপদ'। চাঁদপুর শহরে একসময় শহর পুলিশ ফাঁড়িগুলোর তৎপরতা দেখা যেতো উল্লেখযোগ্য। এখন সেটা সোনালি অতীত। শহরের পুলিশ ফাঁড়িগুলোর নিষ্ক্রিয়তা বা কম তৎপরতার কারণে দিনের চাঁদপুর কার্যত রাতের চাঁদপুরের চেয়ে অনেক বেশি অরক্ষিত থাকে। ইভটিজার ও কিশোর গ্যাংয়ের দাপটে নিরীহ শহরবাসী থাকে আতঙ্কিত। আর দিনের বেলার চোরদের তৎপরতা অপ্রতিহত থাকলে চাঁদপুর শহরের নিরাপত্তা কোন্ পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়াবে, সেটা নিয়ে সংশয় প্রকাশ স্বাভাবিক। আমরা জেলা পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো, চাঁদপুর শহরের নূতনবাজার ও পুরাণবাজারে অবস্থিত দুটি পুলিশ ফাঁড়ি যাতে কাঙ্ক্ষিত সক্রিয়তায় দৃশ্যমান ও ফলপ্রসূ তৎপরতা দেখায় সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনা প্রদান করে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়