প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
এমন উচ্ছেদ হোক ধারাবাহিক

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে গতকাল ‘চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ’ শিরোনামের সংবাদে লিখা হয়েছে, ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে লঞ্চ যাত্রীদের চলাচলের সুবিধার্থে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। ২৭ মার্চ বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসাদুজ্জামান সরকার। উচ্ছেদকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩টি খাবার হোটেল, কনফেকশনারী, মুদি দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা।
চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পূর্বে লঞ্চঘাটে এলোমেলোভাবে গড়ে ওঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একবার উচ্ছেদ করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের অর্থ দেয়া হয়। এরপরেও এসব ব্যবসায়ী অবৈধভাবে লঞ্চঘাটের আশপাশের জায়গা দখল করে খাবারের একাধিক দোকান গড়ে তুলে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোঃ শাহদাত হোসেন বলেন, ৬৮ শতাংশ সম্পত্তির উপর ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি পাকা স্থাপনা রয়েছে। বন্দরের সম্পত্তিতে কোনো অবৈধ স্থাপনা থাকবে না। পর্যায়ক্রমে সব উচ্ছেদ করা হবে। নির্মাণাধীন আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল ভবন নির্মাণ কাজের সুবিধার্থে এবং ঈদ যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে আমাদের এই উচ্ছেদ অভিযান।
মালিককে ক্ষতিপূরণ প্রদানপূর্বক চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে যে সকল স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছিল, সে সকল মালিকের অনেকে আবার লঞ্চঘাটের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াটা বেহায়া-মানসিকতার পরিচায়ক। সেজন্যে এমন ৩০টি স্থাপনা বিআইডব্লিউটিএ'র উচ্ছেদ করাটা যথার্থ বলে আমরা মনে করি। কথা হলো, অবৈধ দখলের শুরুতে এবং স্থাপনা নির্মাণকালে কি এদের বাধা দেয়া যায় না? পুলিশের ৯৯৯ নম্বরে কি বিআইডব্লিউটিএ'র কেউ ফোন দিতে পারে না?--অবশ্যই পারে। কিন্তু এই পারাটাকে দমিয়ে রাখা হয় নানাভাবে। এই নানাভাবের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জানার চেষ্টা করা দরকার। এতে বেরিয়ে আসতে পারে সর্ষের ভেতরে থাকা ভূত কিংবা ঘরের শত্রু বিভীষণ। পাশাপাশি অবৈধ যে কোনো দখলকে ধারাবাহিক উচ্ছেদ প্রক্রিয়ায় টেকসই ফলাফলে পর্যবসিত করতে হবে।