প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধীকে সহায়তা করুন

‘ফরিদগঞ্জে প্রতিবন্ধীর দোকান আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত’ শিরোনামে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদটি পড়ে আমরা ব্যথিত হয়েছি। প্রায় প্রতিদিন এমন অগ্নিকাণ্ডের খবর আমরা কোনো না কোনো গণমাধ্যমে পড়ি। প্রতিটি ঘটনাতেই কম-বেশি ব্যথিত হই। গণমাধ্যমের পাঠক-শ্রোতা ছাড়াও সংবেদনশীল সাধারণ মানুষ, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সহ আরো অনেকে প্রতিটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সমবেদনা, সান্ত¡না প্রদানসহ ন্যূনতম আফসোস হলেও প্রকাশ করেন। কিন্তু এসবে কি ক্ষতিগ্রস্তের পেট ভরে, পুনর্বাসন হয়?
ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর গজারিয়া গ্রামের বরকন্দাজ বাড়ির মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে প্রতিবন্ধী মাসুদ মিয়ার দোকানে ১৯ মার্চ মঙ্গলবার রাতে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। প্রতিবন্ধী মাসুদ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি মঙ্গলবার বাদ আসর দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। রাতে তারাবিহ নামাজ পড়তে যাওয়ার পর স্থানীয় দু’জন পথচারী কামাল ও শাহ আলম কালির বাজার যাওয়ার পথে মাসুদের দোকানের আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে বাড়ির ও আশেপাশের লোকজন এসে পুরুষ-মহিলা সহকারে পানি মেরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। কিন্তু তার আগেই দোকানে থাকা মালামাল পুড়ে যায়। প্রতিবন্ধী মাসুদের পিতা মোঃ হোসেন বলেন, আমার ২ ছেলে ১ মেয়ে। আমার ছেলের এই দোকানই তার একমাত্র অবলম্বন ছিল আয়-রোজগার করার। এখন সে রাস্তায় বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিবন্ধী মাসুদকে পুনর্বাসনে ভূমিকা রাখা খুব কঠিন কাজ নয়। এলাকার কোনো উদ্যমী ব্যক্তি বা সংগঠন একটু উদ্যোগ নিলেই অনেকের সম্প্রসারিত হাতের সহায়তায় ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে তার ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব। স্থানীয় প্রশাসন অবশ্যই এমন উদ্যোগে সহায়তা না করে বসে থাকবে না।
সম্প্রতি সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অনেক ঘটছে। গরম যতো বাড়বে, অগ্নিকাণ্ডও ততো বাড়বে। সব অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে স্থানীয় সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা স্বীয় সামর্থ্য এবং সরকারি সাহায্য নিয়ে এগিয়ে আসলেও পর্যাপ্ত হয় না। সেজন্যে চিত্তবান বিত্তবান ও সমাজহিতৈষীদের এগিয়ে আসার কোনো বিকল্প নেই।