শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫  |   ৩৩ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২১ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

যদি তা-ই হয়, তবে সুফল নিশ্চিত

অনলাইন ডেস্ক
যদি তা-ই হয়, তবে সুফল নিশ্চিত

দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বাজার পরিদর্শনে গিয়ে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে পণ্য কিনবে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ব্যাপারে চাঁদপুর কণ্ঠের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মিজানুর রহমান লিখেছেন, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং ভেজালমুক্ত পণ্য নিশ্চিতে সরেজমিন বাজার পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম (বার)। ১৯ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের ব্যস্ততম পালবাজার এবং চৌধুরীঘাটে ফলের পাইকারি বাজার পরিদর্শন ও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেন তিনি। বাজার মনিটরিংকালে পুলিশ সুপার পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা, বাজার কমিটি এবং ক্রেতাদের সাথে কথা বলেন। অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে কি-না এবং সকল দোকানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন করা আছে কি-না সে বিষয়ে তদারকি করেন। এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেনা দামের চেয়ে সহনীয় পর্যায়ে লাভ করার অনুরোধ জানান। যারা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের নির্দেশনা মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলে জানান। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ নুর হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট অন্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, রমজানে যাতে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে থাকে, অতিরিক্ত দাম না রাখা হয় এবং পণ্য ভেজালমুক্ত থাকে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে এই তদারকি কার্যক্রম। আমাদের এই বাজার তদারকি প্রতিদিনই অব্যাহত থাকবে। আমরা সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ মোতায়েন করেছি। তারা প্রতিটি দোকানে ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে দাম সংগ্রহ করবে এবং সেটি যদি অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে বেশি হয় সে সকল ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

প্রতি বছর রমজান আসলে আমাদের দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যসহ অন্যান্য কিছু পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়াটা সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এই মূল্য নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসমূহের বাজার পর্যবেক্ষণ ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মতো গতানুগতিক কর্মসূচিতে কাঙ্ক্ষিত সুফল আসছে না। কিছু অসৎ ব্যবসায়ী এমন কর্মসূচিতে চোর কর্তৃক পুলিশ পাহারা দেয়ার মতো ভূমিকা পালন করে। পুলিশ দেখলে চোর যেভাবে পালায়, বাজার তদারকি টিম/ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলে এসব ব্যবসায়ী সেভাবে পালায় কিংবা লঘু দণ্ডে দণ্ডিত হয়েও পূর্বের ন্যায় অস্বাভাবিক বর্ধিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করে। এমন বাস্তবতায় ছদ্মবেশে ক্রেতা সেজে পণ্য কেনার ভূমিকায় যদি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ নিয়মিত তৎপরতা চালায় এবং একের পর এক অসৎ ও লোভী ব্যবসায়ী শায়েস্তা হয়, তাহলে পণ্যমূল্য স্বাভাবিক বা যৌক্তিক পর্যায়ে চলে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এখন দেখার অপেক্ষা, চাঁদপুরের পুলিশ সুপারের ঘোষণার প্রায়োগিক দিকটার পরিমাণ হয় কতোটুকু।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়