প্রকাশ : ০৮ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
কারেন্ট জাল বিক্রির দোকানে শুধু নয়, কারখানায়ও চাই অভিযান

‘অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রির অপরাধে দুই দোকানদারকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড’ শিরোনামে গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রির অপরাধে দুই দোকানদারকে জরিমানা করা হয়েছে। তাদেরকে মৎস্য সংরক্ষণ আইন-১৯৫০-এর ধারা ৫(২) অনুযায়ী ১০ হাজার টাকা করে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। বুধবার (৬ মার্চ) সকালে ডিবি পুলিশের সহযোগিতায় জাটকা নিধন প্রতিরোধে অবৈধ কারেন্ট জাল বিক্রি বন্ধে অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাঁদপুর সদর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হেদায়েত উল্লাহ। ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত দোকানদার দুজন হলেন : উত্তম কুমার বর্মন (৬০) ও সীমান্ত সরকার (২০)। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে এক বস্তা অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। ডিবি পুলিশের একটি দল অভিযানে সহযোগিতা প্রদান করে।
জাটকা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় মার্চ-এপ্রিলের অভয়াশ্রম চলছে। এ সময় নদীতে জাল ফেলাই নিষিদ্ধ। অথচ সেই নদীর তীরে অবস্থিত চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারে চলছে প্রকাশ্যে অবৈধ কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার অবৈধ সব উপকরণ বেচাকেনা। আর অদৃশ্য শক্তির বলে মুন্সিগঞ্জসহ অন্যত্র চলছে কারেন্ট জাল তৈরির কারখানা। এমতাবস্থায় নদীর অভয়াশ্রম কার্যক্রমের সাফল্য বিঘ্নিত না হয়ে পারে না। তাই শুধু কারেন্ট জাল বিক্রির দোকান নয়, এই জাল উৎপাদনের কারখানায় চালাতে হবে সংঘবদ্ধ-সম্মিলিত সাঁড়াশি অভিযান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে ভেবে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। এমনটি না ভাবলে জাটকা ইলিশ, মা ইলিশসহ মৎস্য সম্পদ রক্ষায় গৃহীত অভয়াশ্রম ও অন্যান্য কার্যক্রম ফুটো কলসিতে অহেতুক পানি ঢালার মতোই হয়ে যাবে। আমরা এমনটি প্রত্যাশা করতে পারি না। কারণ, অভয়াশ্রম কার্যক্রম আশি থেকে একশ’ ভাগ সফল না হলে ভবিষ্যতে ইলিশ, পাঙ্গাশসহ অনেক সুস্বাদু মাছের সঙ্কটে পড়বে দেশ। তখন বিদেশ থেকে মাছ আমদানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে। যেটা হবে দুর্ভাগ্যজনক।