সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

চুরির এমন ঘটনা উদ্বেগজনক
অনলাইন ডেস্ক

একটি এলাকাকে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাই সহ অন্যান্য অপরাধমুক্ত করা খুব সহজ কাজ নয়। তবে এসব অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা নেয়াটা খুব কঠিন কাজও নয়। কিন্তু এমন কাজ বড়ো ধরনের ঘটনা না ঘটা পর্যন্ত সাধারণত পুলিশ নেয় না কোনো পদক্ষেপ, আর ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ থাকে উদাসীন। প্রয়োজনীয় সচেতনতা অবলম্বন ও নিজস্ব নিরাপত্তাব্যবস্থা নিজেরা গড়ে না তুললে কোনো মানুষের টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় না। আজকাল চোরেরা এতোটা আধুনিক হয়ে গেছে যে, খুব দামী ও উন্নত প্রযুক্তির তালা না হলে সাধারণ কোনো তালাকেই তারা চুরির বাধা বলে মনে করে না। সাধারণ তালা খুলে চোরেরা সহজেই চুরির কাজ সারে। সেজন্যে তালা খুলে শুধু রাতে নয়, দিনেও তারা চুরি করছে।

‘ফরিদগঞ্জে একই এলাকায় ৮টি চুরির ঘটনা!’ শিরোনামে চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় তালা ভেঙ্গে চুরির একাধিক ঘটনা। এই সংবাদে নূরুল ইসলাম ফরহাদ লিখেছেন, ফরিদগঞ্জে দিনের পর দিন বেড়েই চলছে চুরির ঘটনা। ২ থেকে ৩ মাসের ব্যবধানে একই এলাকা থেকে ৯টি অটোবাইক, একটি মোটরসাইকেল ও দোকানের মালামাল চুরি হয়। রাতে অটোবাইক চার্জে দিয়ে ঘুমিয়েছেন অটোবাইকের মালিক, সকালে উঠে দেখেন ঘরের তালা ভাঙ্গা। ঘরে নেই দুটি অটোবাইক। হঠাৎ এ রকম চুরির ঘটনায় হতাশ এলাকাবাসী। জানা যায়, ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে উপজেলার গোবিন্দপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়নের পূর্ব গোবিন্দপুর গাজী বাড়ি থেকে ইব্রাহীম গাজীর ২টি অটোবাইক চুরি করে নিয়ে যায়। একই এলাকায় গাজী মসজিদের পাশে ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে শাহিন আলম কালুর আল-আমিন স্টোরের তালা ভেঙ্গে দোকানে থাকা একটি মোটরসাইকেল ও দামী দামী সিগারেটগুলো নিয়ে যায় এবং পাশের সেলিম স্টোরের তালা ভেঙ্গে কিছু বাটন ফোন ও মোবাইল কার্ড নিয়ে যায়। একই এলাকায় দেড়মাস পূর্বে বেপারী বাড়ির ফজলুর রহমান বেপারীর ঘরের তালা ভেঙ্গে দুটো অটোবাইক চোরে নিয়ে যায়।

ধারাবাহিক এমন চুরির ঘটনায় এলাকাবাসী উদ্বিগ্ন। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো পদেক্ষেপ নিচ্ছে না বলে এলাকাবাসীর অ়ভিযোগ। এ অভিযোগ মৌখিকভাবে করলে বা গণমাধ্যমে সেটি প্রকাশিত হলে যে পুলিশ আমলে নিয়ে তৎপর হয়ে যাবে--এমনটি সাধারণত দেখা যায় না। তবে পুলিশ চোরউপদ্রুত এলাকায় আইনশৃঙ্খলা সভা করে সাধারণ মানুষকে নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অবশ্য করণীয় বিষয়ে পরামর্শ প্রদান এবং বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম জোরদারের উদ্যোগ নিতে পারে। কিন্তু সেটা সব থানার পুলিশ সচরাচর করে না, এজন্যে তারা ওপরের নির্দেশ বা তাগিদের অপেক্ষায় থাকে। থানা পুলিশের এমন মানসিকতা কতোটুকু ঠিক সেটা নিয়ে ভাববার অনেক অবকাশ তৈরি হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়