প্রকাশ : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

সৌদি আরবে আহত রেমিটেন্সযোদ্ধা হাজীগঞ্জের কাদেরের মৃত্যু। এটি কামরুজ্জামান টুটুলের একটি সংবাদ শিরোনাম। চাঁদপুর কণ্ঠে মঙ্গলবার প্রকাশিত এ সংবাদে লেখা হয়েছে, হাজীগঞ্জের রেমিটেন্সযোদ্ধা আবদুল কাদের (৩৫) সৌদি আরবে মারা গেছেন। প্রায় তিনমাস আগে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি রোববার সকালে চিকিৎসাধীন সৌদি আরবের আবহা শহরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি উপজেলার কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের তারাপাল্লা গ্রামের পশ্চিম পাড়াস্থ আলাউদ্দিন প্রধানীয়া বাড়ির মোঃ মফিজুল ইসলামের ছেলে।
প্রায় ১৬ মাস পূর্বে ধার-দেনা (ঋণ) করে সৌদি আরবের আবহা প্রদেশে পাড়ি জমান আব্দুল কাদের। সেখানে তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। গত তিনমাস পূর্বে তিনি কর্মস্থলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন। এরপর থেকে তিনি স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতের ভাতিজা আবু বকর ও চাচাতো ভাই ওমর ফারুক জানান, মৃত্যুকালে আব্দুল কাদের বাবা, মা, স্ত্রী ও তিন শিশু সন্তান রেখে গেছেন। প্রবাসে যাওয়ার সময় যে ঋণ করে গেছেন, তা এখনো পরিশোধ হয়নি। ‘এখন তিন শিশু সন্তানকে নিয়ে কী করবেন’ তার স্ত্রী এই কথা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এদিকে পরিবারের লোকজন ও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া নিহত আব্দুল কাদের প্রধানীয়ার মরদেহ দেশে আনার বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন। নিহতের পরিবারের প্রতি আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্যে এলাকাবাসী, সরকার, জনপ্রতিনিধি ও বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
রেমিটেন্সযোদ্ধা আঃ কাদেরের অকাল অপমৃত্যুতে তার পরিবার যে কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তার বাবা-মা, স্ত্রী ও তিনটি সন্তান যে কতোটা অসহায়ত্বের শিকার হয়েছে, সেটা উপরোক্ত সংবাদ পাঠে যে কোনো পাঠকই উপলব্ধি করতে পারবেন। এ পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্যে ইউপি চেয়ারম্যান যে অনুরোধ জানিয়েছেন সেটা যথার্থ। এজন্যে তিনি একটি কমিটি গঠন করে দিতে পারেন, যে কমিটি অত্যন্ত সংবেদনশীলতা ও আন্তরিকতার সাথে আঃ কাদেরের পরিবারকে সকল ধকল সামলাবার মতো শক্তি-সাহস-প্রণোদনার ব্যবস্থা করবে। এর পাশাপাশি সমাজসেবামূলক সংগঠন কিংবা সমাজসেবী ব্যক্তিবর্গও পত্রিকার সংবাদ পড়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আঃ কাদেরের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো দরকার বলে আমরা মনে করি। শুধু আঃ কাদের নয়, বিদেশে যখনই কোনো রেমিটেন্সযোদ্ধার দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটবে কিংবা দুর্ঘটনায় অকর্মণ্য হয়ে যাবে, তখন তার পরিবারের পাশে কোন্ প্রক্রিয়ায় সরকার কিংবা ব্যক্তি/সংস্থা দাঁড়াতে পারে সে ব্যাপারে কাউকে না কাউকে খুবই গুরুত্বের সাথে ভেবে করণীয় নির্ধারণ কিংবা মূল্যবান পরামর্শ দেয়ার জন্যও আমরা অনুরোধ জানাতে চাই।