সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

সোনালী ব্যাংক এগিয়ে, অন্যরা পিছিয়ে কেন?

সোনালী ব্যাংক এগিয়ে, অন্যরা পিছিয়ে কেন?
অনলাইন ডেস্ক

করোনায় কর্মহীন ৮৮জনের প্রত্যেককে নগদ ২হাজার টাকা করে ১লাখ ৭৬ হাজার টাকা প্রদান করেছে সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর অঞ্চল। ব্যাংকের পক্ষে গত ৪ আগস্ট চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ এই অর্থ বিতরণ করেন। ওইদিন সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত উক্ত অর্থ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেয়া সোনালী ব্যাংক চাঁদপুর অঞ্চলের ডিজিএম মোহাম্মদ খায়রুল আনাম ভূঁইয়া জানান, করোনার কারণে সারাদেশের হতদরিদ্র, কর্মহীন হয়ে পড়া ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) বাজেট হতে আর্থিক সহায়তা দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চাঁদপুর জেলায় ৮৮জন মানুষ পেয়েছে উক্ত অর্থ সহায়তা।

আমাদের জানা মতে, চাঁদপুর জেলায় সিএসআর বাজেট বা খাত থেকে ব্যয়ে সোনালী ব্যাংকের এমন এগিয়ে আসাটা অন্যান্য ব্যাংকের তুলনায় আগেই হয়েছে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পালনে চাঁদপুরের অন্যান্য ব্যাংক পিছিয়ে কেন?

বাংলাদেশ ব্যাংক তার সর্বশেষ নির্দেশনায় বলেছে, ব্যাংকের করপরবর্তী নীট মুনাফার ১ শতাংশ অর্থের সমপরিমাণ প্রায় ১১৪ কোটি টাকা কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর)-এর আওতায় বিশেষ সিএসআর খাতে ব্যয় করতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ব্যাংকগুলোকে দেশের তৃণমূল পর্যায়ে হতদরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। তদারকির সুবিধার্থে প্রতি ১৫দিন পর উক্ত অর্থ ব্যয়ের প্রতিবেদন বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রতি বছর ব্যাংকগুলো নানা সিএসআর কার্যক্রম করে থাকে। এজন্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা মোতাবেক সারা বছরের জন্যে বরাদ্দ রাখা হয়। কিন্তু বিশে^র অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের হার পুনরায় বৃদ্ধির ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া হতদরিদ্র, ছিন্নমূল, দুঃস্থ, অসহায় মানুষদের জন্যে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সেবার প্রয়োজনে মুনাফা অর্জনকারী ব্যাংকগুলোকে সিএসআর খাত থেকে ব্যয়ের প্রাগুক্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা মনে করি, এ নির্দেশনা যথার্থ ও সময়োপযোগী।

চাঁদপুরে সোনালী ব্যাংক সিএসআর খাত থেকে ব্যয় করতে গিয়ে গতানুগতিকভাবে খাদ্য সামগ্রী ও স্বাস্থ্য উপকরণ না দিয়ে নগদ অর্থ হিসেবে জনপ্রতি দু হাজার টাকা করে দিয়েছে, যেটা এই অর্থ গ্রহণকারীদের জরুরি অনেক কাজে লাগবে। এছাড়া দাতাকেও কম ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। বলা দরকার, করোনায় কর্মহীন অসহায় মানুষদের মধ্যে খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ করার প্রবণতায় ভোগে প্রায় সকল উদ্যোক্তা। এদের যে নগদ অর্থও প্রয়োজন হতে পারে, সেটা বুঝতে যেন তাদের অনেক কষ্ট হয়। সোনালী ব্যাক চাঁদপুর অঞ্চল সেটা সহজভাবে বুঝেছে, সেজন্যে তারা অবশ্যই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়