সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

দুটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গতি চাই
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডগুলোর রহস্য উদ্ঘাটনে থানার পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির সাফল্য উল্লেখ করার মতোই। তারপরও দু-চারটি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে শ্লথগতি লক্ষ্য করা যায়। সেজন্যে জনমনে চাপা ক্ষোভ, প্রকাশ্য ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে নানাভাবে। কেউ এ ক্ষোভ প্রকাশে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে ধর্ণা দেয়, মানববন্ধন করে, ব্যানার-পোস্টার সাঁটায়, স্মারকলিপি দেয় ইত্যাদি। গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে দুটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় ক্ষোভ সংক্রান্ত দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

‘ঘটনার ২৬ দিন অতিবাহিত : নানুপুরের স্কুল ছাত্র মেহেদী হত্যার কুল কিনারা হচ্ছে না’ শীর্ষক সংবাদ থেকে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের স্কুল ছাত্র মেহেদী হাসানকে গত ২৮ নভেম্বর রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে তার বন্ধু বরকত খুন করে। ঘটনার পর পর এলাকাবাসী বরকতকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। মেহেদীর পিতা হেলাল বেপারী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। হত্যার পর প্রায় চার সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও পুলিশ বাকি দু আসামীকে এখনও আটক করতে পারেনি। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কবির বলেন, ঘাতক বরকত জেল হাজতে রয়েছে। তার রিমান্ড চেয়েছি। মেহেদী হত্যায় তাকে অর্থাৎ একজনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, ঘাতক বরকত একা মেহেদীকে খুন করেনি। তার সাথে আরো খুনি জড়িত রয়েছে। এদেরকে বাঁচাতে স্থানীয় একটি চক্র কাজ করছে।

‘মতলব উত্তরে আলোচিত সলিম উল্লাহ লাভলুর হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন’ শীর্ষক সংবাদ থেকে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার ফতেপুর পশ্চিম ইউনিয়নের মান্দারতলী গ্রামের বাসিন্দা, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ সলিম উল্লাহ লাভলুকে গত ১ নভেম্বর রাতে হত্যা করে রাস্তার পাশে মরদেহ ফেলে রাখা হয়। তার ডান কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন ছিলো। পরদিন ২ নভেম্বর ভোরে লাভলুর বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে পাঠায় থানা পুলিশ। এ ঘটনায় লাভলুর ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয় নি। সেজন্যে হত্যার ৫২ দিন পর গত শনিবার এলাকার সহ¯্রাধিক মানুষ স্থানীয় মান্দারতলী বাজারস্থ সড়কে মানববন্ধন করে। এ সময় সলিমুল্লাহ লাভলু হত্যায় জড়িতদের চিহ্নিত করে ফাঁসির দাবি জানান ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, ইউপি মেম্বার জহিরুল হক সহ আরো অনেকে। মতলব উত্তর থানার ওসি মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ইতিমধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত মাইনুদ্দিন ও সানোয়ার হোসেন সানু নামে দুজন এবং মোজাম্মেল নামে সন্দেহভাজন ১ জন সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হত্যকাণ্ডে জড়িত সকলকে শনাক্তকরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত সকল তথ্য উদ্ঘাটনে আমরা আশাবাদী।

আমরা চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের স্কুল ছাত্র মেহেদী হাসান এবং মতলব উত্তর উপজেলার মান্দারতলী গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তি মোঃ সলিম উল্লাহ লাভলু হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনসহ সকল আসামীকে আটক করার ব্যাপারে থানা পুলিশের সক্রিয়তা চাই। এজন্যে তদন্তে কাঙ্ক্ষিত গতি প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার এ দুটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে গতিশীলতা আনয়নে দিক নির্দেশনা দেবেন এবং এবং নিবিড় মনিটরিং করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়