শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০

ভালোয় ভালোয় শেষ হোক দুর্গোৎসব

ভালোয় ভালোয় শেষ হোক দুর্গোৎসব
অনলাইন ডেস্ক

গতকাল ১ অক্টোবর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচে’ বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু হয়েছে। আগামী ৫ অক্টোবর শেষ হবে এই উৎসব। এবার বাংলাদেশে প্রায় ৩২ হাজার মণ্ডপে এই দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। আর চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলায় ২১৯টি পূজা মণ্ডপে হচ্ছে এই দুর্গোৎসব।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ডিআইজি (অপারেশন) আলী আহমেদ খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শারদীয় দুর্গোৎসবে নিরাপত্তায় কোনো ধরনের বিচ্যুতি হবে না। সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় আছে পুলিশ। যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা রুখে দিতে পুলিশ প্রস্তুত। একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, দুর্গোৎসবের সময় রাজনৈতিক সমাবেশের নামে নাশকতা ঘটানো হতে পারে। তাই সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেজন্যে এই উৎসব চলাকালে কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ করার অনুমোদন প্রদানে রাজনৈতিক দলগুলোর আবেদনে অনুমতি প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করছে পুলিশ। জানা গেছে, প্রত্যেক মণ্ডপে পোশাকধারী পুলিশের বাইরে একজন কিংবা দুজন করে গোয়ন্দা পুলিশ সদস্য থাকবেন। সর্বোচ্চ দুটি মণ্ডপ ঘিরে একজন অফিসারের নেতৃত্বে মোবাইল টিম থাকবে। ঐ গোয়ন্দা সদস্য এবং অফিসার পরস্পর সমন্বয় করবেন। মণ্ডপের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গেও টহলের দায়িত্বে থাকা অফিসার সার্বক্ষণিক সমন্বয় করবেন।

শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদে উদ্যাপনের লক্ষ্যে পুলিশ প্রাক-পূজা, পূজা চলাকালীন ও পূজা পরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সব পূজা মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হ্যান্ড মেড মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে গেট স্থাপন, পূজা মণ্ডপে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নারী-পুরুষের জন্য পৃথক প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা করা, পূজামণ্ডপ ও বিসর্জন স্থলে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করা, আজান ও নামাজের সময় উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার না করার জন্যে পূজা উদ্যাপন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

গত বছর কুমিল্লা শহরের একটি দুর্গা পূজা মণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগের জের হিসেবে হাজীগঞ্জে পূজা মণ্ডপে হামলা-ভাংচুর, পুলিশের গুলি ও প্রাণহানির ঘটনায় শুধু দেশে নয়, দেশের বাইরেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই কষ্টকর স্মৃতি বুকে নিয়েই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা করোনার প্রকোপ কমায় এবার বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা পুরো উৎসবের আমেজেই উদ্যাপন করছে। এবার সম্ভাব্য নাশকতা এড়াতে বা নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা লাগানোর বিষয়টি বাধ্যবাধকতার আওতায় আনা হয়েছে। চাঁদপুর শহরে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী হরিজনদের দুটি মণ্ডপে চাঁদপুর পৌরসভা এবং কচুয়ায় ৩০টি মণ্ডপে আমেরিকা প্রবাসী এক মুসলিম ব্যক্তি (জামাল হোসেন) সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে দেয়ার খরচ বহন করেছে। এটা নিঃসন্দেহে অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ।

সত্যি কথা বলতে কি, বাংলাদেশের সর্বত্র সুন্দর সাম্প্রদায়িক সহাবস্থান বিরাজ করছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হবার মতো ঘটনা দীর্ঘ সময় ধরেই ঘটেনি। তবে উগ্র জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী মাঝে মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রয়াস চালায়। পুলিশ ও সচেতন মহল আন্তরিকভাবেই সেই প্রয়াস নস্যাৎ করে দেয়। আমরা প্রত্যাশা করি, সকল আশঙ্কা ও অপপ্রয়াসকে গুঁড়িয়ে দিয়ে এবার ভালোয় ভালোয় শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়