প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০
১২শ’ শিক্ষার্থী, তবুও নেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো
আমাদের দেশে কোথাও উপচেপড়া উন্নয়ন, আবার কোথাও নেই ন্যূনতম উন্নয়ন। ক্ষমতাধররা উন্নয়ন- বরাদ্দকে নিজের এলাকায় অপ্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করানোর ক্ষেত্রেও তদবিরে হন সফল। আর ক্ষমতাহীনরা বিভিন্ন মাধ্যমে সমস্যার প্রকট রূপ তুলে ধরে তদবিরের পাশাপাশি চিল্লাচিল্লি করেও সফল হন না। এজন্যেই প্রকৃত অর্থে সমণ্ডউন্নয়ন হয় না।
|আরো খবর
চাঁদপুর জেলায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের পর্যাপ্ত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ উন্নয়নের মধ্যে কিছু স্থানে অবকাঠামোগত অপ্রয়োজনীয় উন্নয়নও সাধিত হয়েছে। এর পাশাপাশি কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতি প্রয়োজনীয় উন্নয়নও সাধিত হয়নি। উন্নয়ন-বঞ্চনার শিকার এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঘিলাতলী ফাযিল মাদ্রাসা অন্যতম।
গতকাল এ মাদ্রাসাটি নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংক্ষিপ্ত সচিত্র প্রতিবেদনে লিখা হয়েছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঘিলাতলী ফাযিল মাদ্রাসা চাঁদপুর জেলার অন্যতম সেরা দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটিতে শিশু শ্রেণি থেকে ফাযিল শ্রেণি পর্যন্ত ১২শ’ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করার পাশাপাশি রয়েছে ইবি পঞ্চম, জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষার কেন্দ্র। এ বিশাল কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করতে নেই এখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো। তাই জরাজীর্ণ টিনের ঘরে শ্রেণি কার্যক্রম ও পাবলিক পরীক্ষাগুলো পরিচালনা করতে হয়। মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ ও প্রয়োজনীয় সমস্যা সমাধানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মতলবের কৃতী সন্তান ড. শামসুল আলম এবং চাঁদপুর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুলের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ এলাকাবাসী।
চাঁদপুর জেলায় ঘিলাতলী ফাযিল মাদ্রাসার ন্যায় ১২শ’ শিক্ষার্থী সম্বলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নিশ্চয়ই হাতে গোণা। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, ৩শ’ থেকে ৫শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে এমন কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থায়নে একাধিক পাকা ভবন নির্মিত হলেও উক্ত মাদ্রাসাটিতে সেটি হয়নি। মাদ্রাসার গভর্নিংবডি, অধ্যক্ষসহ এলাকাবাসীর পক্ষে জোরালো তদবিরের অভাবে এ মাদ্রাসাটিতে এমন উন্নয়ন-বঞ্চনা বিদ্যমান, না অন্য কোনো কারণ রয়েছে সেটা আমাদের জানা নেই।
জেলা পর্যায়ে উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি যেমন রয়েছে, তেমনি উপজেলা পর্যায়েও এমন কমিটি রয়েছে। আমরা মনে করি, মতলব দক্ষিণ উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় ঘিলাতলী ফাযিল মাদ্রাসার উন্নয়ন-বঞ্চনার বিষয়টি এ কমিটির যে কোনো সদস্যের মাধ্যমে উত্থাপিত হওয়া উচিত। এ ব্যাপারে স্থানীয় মন্ত্রী-এমপির কাছে শুধু গণমাধ্যম অবলম্বনে দাবি উপস্থাপন করেই বসে থাকলে হবে না, শিক্ষার্থীর ও এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে স্মারকলিপিও দিতে হবে। এ স্মারকলিপির অনুলিপি চাঁদপুর-৩ আসনের এমপি ও মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি এবং জেলা প্রশাসক বরাবরেও দেয়ার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমরা মনে করি। একবারে কাজ না হলে এমন স্মারকলিপি বারবার দিতে হবে। আশা করি এমন প্রয়াসে কাজ হতে পারে। হতাশায় হাত-পা গুটিয়ে বসে না থেকে বার বার প্রয়াস চালানোতে দোষ নেই, বরং সুফলের সম্ভাবনাই থাকে বেশি।