প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২২, ০০:০০
নতুন শিক্ষাক্রমে গাছ লাগানোর গুরুত্ব প্রসঙ্গে
গত ২৩ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি চাঁদপুর শহরের হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা উদ্বোধনকালে বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমে গাছ লাগানোর বিষয়টি গুরুত্বের সাথে থাকবে। শিক্ষার্থীরা নিজেরা যাতে গাছ লাগায়, গাছের যত্ন নেয়, কোন্ গাছ কেনো লাগাবে ইত্যাদি বিষয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্তির চেষ্টা করছি। এর ফলে শিক্ষার্থীরা গাছের ন্যায় নিজের জীবন, পরিবার, প্রতিবেশীর যত্ন নেয়া, দেশসেবা করা শিখবে এবং এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীটা সুন্দর হবে। তিনি বলেন, গাছ আমাদেরকে কেবল অক্সিজেনই দেয় না, ফল-ফুল দিয়ে আমাদের মন ভালো করে দেয়। কাজেই গাছ রোপণ করতে হবে, যত্ন নিতে হবে। সে লক্ষ্য নিয়েই পরিবেশ বাঁচাতে আমাদের সুস্থ জীবনযাপনে, পুষ্টির খোরাকের জন্যে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে বৃক্ষরোপণ অভিযান, যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রতি বছর করেন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন, সেই সবুজ বাংলাদেশ গড়বার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে তাঁকে অনুসরণ করে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ অভিযানে অসংখ্য গাছ লাগানোর জন্যে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। তিনি শিক্ষার্থীদের প্রত্যেককে ফলদ, বনজ ও ভেষজ গাছ লাগানোর অনুরোধ করে বলেন, আমরা যদি একটা করে গাছ লাগাই তাহলে আমাদের ফল ও পুষ্টির অভাব হবে না। আমাদের অর্থনীতি অনেক এগিয়ে যাবে এবং পরিবেশগত সৌন্দর্য অনেক বৃদ্ধি পাবে।
|আরো খবর
শিক্ষামন্ত্রী কেনো, অন্য যে কোনো মন্ত্রী-এমপি, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা শিক্ষার্থীদের কোনো অনুষ্ঠানে দেখলেই প্রসঙ্গ বিবেচনায় তাদের উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক বক্তব্য রাখেন। কিন্তু গত ২৩ জুলাই চাঁদপুরে বৃক্ষমেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের শুধু উপদেশ দেননি, সে উপদেশ বাস্তবায়নে নতুন শিক্ষাক্রমে গাছ লাগানোর গুরুত্ব অন্তর্ভুক্তির যে আশ্বাস দিয়েছেন, সেটি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক।
গাছ লাগানো ও যত্ন করার বিষয়ে বিশে^র অধিকাংশ মহামানব গুরুত্বারোপ করেছেন। সেমতে ভক্ত-অনুসারীরা গাছ লাগায় বটে, তবে যত্ন করার বিষয়টিতে আন্তরিক থাকে না। চাঁদপুর শহরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সড়কের পার্শ্ববর্তী রেলওয়ে লেকের দক্ষিণ পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড গাছের চারা লাগিয়ে খাঁচায় বন্দী করে সব দায়িত্ব যেনো শেষ করে ফেলেছে। তারপরও শতকরা দশভাগ গাছ বেড়ে ওঠার নমুনা দেখা যাচ্ছে না। এর পেছনে তাদের তদারকি ও আন্তরিকতার অভাব লক্ষ্যণীয়। এটি দুঃখজনক। আমরা চলমান বৃক্ষরোপণ মৌসুমে শূন্য খাঁচায় গাছ লাগানো এবং বেঁচে থাকা গাছগুলোকে বেড়ে ওঠার ব্যাপারে সর্বাত্মক যত্নবান হবার জন্যে সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি।