সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২১, ০০:০০

মরণ ফাঁদরূপী সড়কটিকে নিয়ে ভাবুন

মরণ ফাঁদরূপী সড়কটিকে নিয়ে ভাবুন
অনলাইন ডেস্ক

হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরীপুর সড়ক সাম্প্রতিক সময়ে মরণফাঁদ রূপে আবির্ভূত হয়েছে। ২-১ দিন পর পর এই সড়কে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটছেই। এই তো সেদিন (৯ জুলাই) কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আরিফ খান জয় (৩২) নামের তরতাজা এক যুবক মোটরসাইকেলযোগে এই সড়কটি অতিক্রমকালে এক আরোহীসহ মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্মক আহত হন। পরে আরিফ খান জয়কে ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এর আগে আরো কতোজন উক্ত সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন, পঙ্গুত্ববরণ করেছেন তার হিসাব না-ই দিলাম। এই যুবকটির মর্মান্তিক মৃত্যুর স্মৃতিটি মন থেকে মুছে না যেতেই ১২ জুলাই সোমবার বিকেলে মরণ ফাঁদরূপী উক্ত সড়কে ঘটেছে আরেক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে এ সংবাদটির স্পর্শকাতর যে শিরোনাম হয়েছে, তা হচ্ছে ‘ছেলেকে ভাত দিতে এসে বাড়ি ফেরা হলো না মায়ের’। এ সংবাদে চাঁদপুর কণ্ঠের কচুয়া ব্যুরো ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন লিখেছেন, রাবেয়া খাতুন (৬০) নামের এই স্নেহশীলা মা তার নাড়িছেঁড়া ধন ছোট ছেলে আল-আমিনের জন্যে দুপুরের খাবার পৌঁছে দিয়ে পরে বিকেলে আবার গিয়েছিলেন ছেলের দোকানে। উদ্দেশ্য ছিলো, টিফিন বক্সটি নিয়ে বাড়ি ফেরা। হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কে ডুমুরিয়া সিরাজ মিয়ার বাড়ি সংলগ্ন মোড়ে সড়কের পাশে আল-আমিনের দোকান। এই দোকান থেকে টিফিন বক্স নিয়ে রওনা দিয়ে তার গর্ভধারিণী মা রাবেয়া খাতুন আর বাড়ি পর্যন্ত যেতে পারেননি। পথিমধ্যে কচুয়াগামী একটি পিকআপ ভ্যান দ্রুত গতিতে চলাবস্থায় রাবেয়া বেগমকে সজোরে ধাক্কা দিলে তিনি প্রায় ১৫ ফুট দূরে ছিটকে পড়েন। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তার ছেলে। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে কর্মরত চিকিৎসক কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কুমিল্লা যাবার পথে রাবেয়া বেগম শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাথে সাথে আদরের ছোট ছেলেকে তার দোকানে গিয়ে পরম যত্নে প্রতিদিন দুপুরের খাবার খাওয়ানোর দায়িত্ব থেকে চিরদিনের জন্যে অবসরে গেলেন।

রাবেয়া বেগমের মতো একজন দরদী মায়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা জেনে নিশ্চয়ই পাষাণের হৃদয়ও বিগলিত হয়েছে। তার মৃত্যু সংবাদটি পড়ে কোনো কোনো পাঠক অশ্রুসজল হয়েছেন, আবার অনেকে সংবেদনশীলতায় আক্রান্ত হয়েছেন। অবশ্যই এমনটি হবার কথা। যে হাজীগঞ্জ-কচুয়া-গৌরিপুর সড়কে রাবেয়া খাতুন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন, সেটি একের পর এক দুর্ঘটনায় কালিমালিপ্ত হয়ে মরণ ফাঁদ নামে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। নির্মাণে কোন্ ত্রুটির কারণে কিংবা যানবাহনগুলোকে কোন্ নির্দিষ্ট গতিতে ও কোন্ কোন্ সতর্কতা অবলম্বনে চলতে সাইন সিগন্যাল না দেয়ার কারণে এ সড়কটিতে দুর্ঘটনা হ্রাস পাচ্ছে না, সেটি নিয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ)-এর গুরুত্বের সাথে ভাবা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়