শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:১২

বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা ঘরে ঘরে প্রস্তুতি

বিমল চৌধুরী
বুধবার  কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা ঘরে ঘরে প্রস্তুতি

উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে সদ্য সম্পন্ন হওয়া শারদীয় দুর্গোৎসবের পর নতুন উদ্যমে সনাতনী ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের ভক্তবৃন্দ মহা আনন্দে প্রস্তুতি নিচ্ছেন শ্রী শ্রী লক্ষ্মী পূজা সম্পন্ন করার জন্যে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) পূর্ণিমা তিথিতে তারা এই পূজা সম্পন্ন করবেন বলে জানা যায়। সেই অর্থে তিথি অনুযায়ী বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে দুদিন ১৬ ও ১৭ অক্টোবর বুধবার ও বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে ধন-সম্পদের দেবী শ্রীশ্রী লক্ষী পূজা। এই বছর পূর্ণিমা শুরু হবে ১৬ অক্টোবর বুধবার রাত ৮টা ১২মিনিট ৪৮সেকেন্ডে আর শেষ হবে তার পরের দিন ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৫টা ৪ ৭মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের মধ্যে। এই দীর্ঘ সময় নিয়েই পূজারীগণ তাদের গৃহ দেবতার পূজা সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জানা যায়। লক্ষ্মী দেবী ধন সম্পদ আর প্রাচুর্যের দেবী হওয়ায় বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বী ধনী-গরীব সকল পরিবারেই গৃহ দেবতা হিসেবে পূজিত হয়ে আসছেন। তারপরেও এই দিনের পূর্ণিমা তিথিতে শ্রীশ্রী লক্ষ্মীদেবীর বিশেষ করুণা লাভে প্রতিটি সনাতনীদের গৃহে বিশেষ আয়োজনে লক্ষ্মীদেবী পূজিত হন ভক্ত হৃদয়ের আকুল প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। তাই এদিন পূজা সম্পন্নে সনাতনীদের আয়োজনও ব্যাপক। এদিন তারা দেবী সন্তুষ্টিতে হরেক রকম মিষ্টিজাত দ্রব্যের আয়োজন করে থাকেন। এর মধ্যে নারকেলের তৈরি হরেক রকম সন্দেশের প্রাধান্যই বেশি। এছাড়াও মিষ্টি, কদমা, খেলনা, বুরিন্দা, পিঠা, পায়েশ, লুচি, খিচুড়ি থেকে শুরু করে হরেক রকম মুখরোচক মিষ্টিজাত দ্রব্যের নানা আয়োজন থাকে। এদিন অনেকেই লক্ষ্মী দেবীর প্রতিমা, মাটির সরা বা কলা বৌ বানিয়ে পূজা সম্পন্ন করে থাকেন। তাই পূজাকে কেন্দ্র করে এদিন শহরের কালীবাড়ি মন্দির থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থানে লক্ষ্মী প্রতিমাসহ পূজার উপকরণ বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর লক্ষ্মী প্রতিমাসহ প্রতিটি পূজার উপকরণের দাম অত্যধিক হওয়ায় মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার অনেকটাই হতাশ। দেবী আশীর্বাদ থেকে বঞ্চিত না হওয়ার মানসিকতায় তারা হৃদয়ের ভক্তি-শ্রদ্ধাকে পুঁজি করেই মায়ের পূজা সম্পন্নে সক্রিয় হবেন। তারপরও থেমে নেই পূজার উপকরণ কেনাবেচায়। কলা গাছের ডোঙা থেকে শুরু করে টুনি ফুল, বাঁশের জিংলা, ফুল, বেলপাতা, দুর্বা সবই পাওয়া যাচ্ছে ইচ্ছে অনুযায়ী। তবে দামটা একটু বেশি। ভালো পর্যায়ের ১টা নারকেল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকার উপরে। আগে পূজা শেষে নারকেলের নারু সন্দেশ থেকে শুরু করে মোয়া, মুড়ি খাওয়া বা খাওয়ানোর যে আন্তরিকতা ছিলো বর্তমানে তা তেমন করে দেখা যায় না। বর্তমানে অনেক পরিবারই নিয়মের পূজা দিতেই ব্যস্ত। তাই সেইভাবে আর লক্ষ্মীপূজার অতিথি আপ্যায়ন আর প্রসাদ বিতরণ চোখে পড়ে না। তবে লক্ষ্মী পূজাকে কেন্দ্র করে পুরোহিতদের জন্যে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হয়। এই দিন সকল গৃহেই পুরোহিত দিয়ে পূজা দেওয়ায় পুরোহিত সংকট দেখা দেয়। তবে কার আগে কে পূজা দিবে তা নিয়ে চলে সকলের মাঝে একটা দৃশ্যহীন প্রতিযোগিতা। এই কারণেই পুরোহিতদের চাহিদাও বেড়ে যায়। আশানুরূপ পুরোহিত না থাকাই এর কারণ। তবে এই বছর দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পূর্ণিমা থাকায় হয়তো পুরোহিতের সংকট থাকবে না বলে অনেকেই অভিমত ব্যক্ত করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়