প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫, ২১:০২
প্রস্তাবিত শহীদ বাবুল সড়ক সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর

গত দু দশকে সরকারিভাবে এক ছটাক মাটিও পড়েনি সড়কে। ফলে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ কাঁচা এই সড়ক দিয়ে কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার মানুষজনকে বর্ষা মৌসুমে কাঁদা পানি মাড়িয়েই চলাচল করতে হয়। স্কুল ও মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী ভরা বর্ষায় স্কুল ফাঁকি দিতে বাধ্য হয় রাস্তার কারণে। বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা বলে পতিত সরকারের উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিলো এ রাস্তাটি। চরম বৈষম্যের শিকার এই সড়কটি হচ্ছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর আনিছ ভূঁইয়া সড়ক, যা বর্তমানে প্রস্তাবিত শহীদ বাবুল ভূঁইয়া সড়ক নামে পরিচিত।
|আরো খবর
জানা গেছে, রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অবহেলিত জনপদ বদরপুর গ্রামের এই অংশটিতে গত দু দশকের বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে কোনো উন্নয়ন হয় নি। একদিকে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা, অপরদিকে ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর ফরিদগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন এই এলাকার সন্তান যুবদল নেতা বাবুল ভূঁইয়া। সে কারণে পুরো আওয়ামী শাসনের সময় এই সড়কের উন্নয়নে কোনো বরাদ্দ মিলেনি। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সড়কটি নিয়ে লোকজনকে।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশিষ্ট ব্যাংকার ওয়াজি উল্লাহ ভূঁইয়া, স্থানীয় মো. মোস্তফা, সিরাজ ভূঁইয়া, সহিদ উল্লাহ ভূঁইয়া, রহিম ভূঁইয়া, ইউছুফ আলী মাসুদ, মনির হোসেন ও রফিকুল ইসলাম জানান, সড়কটি নিয়ে আমাদের দুর্দশার শেষ নেই। বদরপুর, রুস্তমপুর ও ভাটেরহদ গ্রামের বিশাল একটি অংশের লোকজনের চলাচলের অন্যতম পথ এটি। বর্ষাকালে চলাচলের পুরোপুরি অযোগ্য থাকে। আমরা সড়কটি সংস্কার চাই। কাঁচা রাস্তা পাকা চাই।
উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক স্থানীয় বাসিন্দা আলমগীর হোসেন আলম বলেন, যুবদল নেতা শহীদ বাবুল ভূঁইয়ার স্মৃতিবিজড়িত এই সড়ক এটি। এলাকার লোকজন ইতঃমধ্যেই সড়কটির নাম শহীদ বাবুল ভূঁইয়ার নামে নামকরণে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এই সড়কটির একটা বিহিত হোক সেটা চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আবরাব আহাম্মদ জানান, সড়কটির আইডি নাম্বার হয়েছে। আশা করছি পর্যায়ক্রমে সড়কটি পাকা হবে।