প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩২
পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
মতলব উত্তরের মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে মেঘনা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের দুদিন পর এক শিক্ষার্থীর মরদেহ ভেসে উঠলো। এই মরদেহ উদ্ধার করেছে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি । নিহত ওই ছাত্রের নাম মো. আবির (১০)। সে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার বাঘবের এলাকার জজ মিয়ার ছেলে এবং ভক্তবাড়ী বাজারস্থ আল আকসা রেসিডেন্সিয়াল মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।
|আরো খবর
শনিবার (১২ অক্টোবর) সকালে আমিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে নিখোঁজ মো. আবিরের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়িকে খবর দেয়। ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
তিনি জানান, এ বিষয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের বড়ো কাকা মো. ফজলুর হকের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়না তদন্তে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে মতলব উত্তর উপজেলার মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিকে আসে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আল আকসা রেসিডেন্সিয়াল মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকবৃন্দ। সেখনে নদীর পানিতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে শিক্ষার্থী মো. আবির নিখোঁজ হয়। এর দুদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে মোহনপুর নৌ পুলিশ ফাঁড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরও নারায়ণগঞ্জ ক্যামব্রিয়ান স্কুল এন্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থী একই স্থানে ডুবে মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু পর্যটন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কোনো সতর্কতা অবলম্বন করেনি। সাঁতার না জানা শিশুদের নামতে দেয়া কোনোভাবে ঠিক হচ্ছে না। এখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে গনমাধ্যমকেও জানানো হয় না।
নিহত মো. আবিরের চাচা ফজলুল হক জানান, গত বৃহস্পতিবার আমার ভাতিজা তার মাদ্রাসার শিক্ষকদের সাথে মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিকে যায়। পাশে মেঘনা নদীর তীরে সহপাঠীদের সাথে আনন্দ উদযাপন করার সময় মেঘনা নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। পরে মোহনপুর নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ডুবুরি দলকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে চলে যায়। দু দিন পরে আমিরাবাদ এলাকার মেঘনা নদীতে আমার ভাতিজার লাশ ভেসে উঠে। সেখান থেকে আমার ভাতিজার লাশ আমরা বাড়িতে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, মোহনপুর পর্যটন কেন্দ্রে কোনো নিরাপত্তা নেই। নিরাপত্তা ছাড়া তারা কীভাবে একটা পর্যটন কেন্দ্র চালায়? আমার ভাতিজা নিখোঁজ হওয়ার পর ঐ পর্যটন কেন্দ্রের কেউ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেননি।
এ বিষয়ে মোহনপুর পর্যটন লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী মিজানুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।