তবে তা-ই হোক

শুক্রবার বিকেলে হাইমচর উপজেলায় মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে মৎস্যজীবীদের সাথে সচেতনতামূলক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, বর্তমান সময়টা পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি জেলেদের ধরবো না, যারা এই জেলেদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, সে সকল গডফাদারকে পাকড়াও করবো। এই ২২ দিন কোনো জেলে নদীতে যাবেন না। এটার যে ব্যত্যয় করবেন, তার বিরুদ্ধে অন্যবারের চেয়ে এবার বেশি অ্যাকশনে যাবো। এ বছর চাঁদপুরের একটা বরফ কলও চলবে না। আমরা প্রতিটি পয়েন্টে কোস্টগার্ড, পুলিশ নৌ, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট কিছু দূর অন্তর অন্তর রেখে অভয়াশ্রমের ৭০ কিলোমিটার আমাদের নেটওয়ার্কের আওতায় নিয়ে আসবো। আমরা চাই আপনারা জেলেরা ভাল থাকুন। তাই আমরা এই অভয়াশ্রমের সময়টুকুতে আপনাদের জন্যে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করবো। আপনাদের মধ্যে যারা অসুস্থ রয়েছেন ওখানে যাবেন এবং চিকিৎসা নিবেন।

প্রথমেই জেলা প্রশাসককে মা ইলিশ রক্ষায় আগের বছরগুলোর চেয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে বেশি সময় দেয়ার জন্যে জানাতে হয় অনেক ধন্যবাদ। তিনি ইতোমধ্যে মা ইলিশ রক্ষার প্রয়োজনে কঠোরতা অবলম্বনের জন্যে যা যা বলেছেন, তা যদি করতে পারেন, তাহলে এবারের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান যে অনেক সফল হবে, তাতে সন্দেহ নেই। তিনি তাঁর অনেক কথার মধ্যে জেলেদের গডফাদারদেরকে ধরার যে কথা বলেছেন, সত্যিকারভাবেই যদি সেটি করা হয়, তাহলে এবারের মা ইলিশ রক্ষা অভিযান ভিন্ন মাত্রা পাবে। আমরা চাই সেটাই হোক। আমাদের বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক গোয়েন্দা রিপোর্টে কিংবা অন্য কোনোভাবে অসাধু জেলেদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা গডফাদারদের চিহ্নিত করতে পেরেছেন। যারা প্রতিবছর জাটকা রক্ষায় অভয়াশ্রম ও মা ইলিশ রক্ষা অভিযান চলাকালে, এমনকি সারা বছর জেলেদের কারেন্ট জাল ব্যবহার সহ নানা অবৈধ কার্যক্রমে সম্ভাব্য সকল ধরনের সহযোগিতা দিয়ে থাকে। এদের আছে রাজনৈতিক পরিচয়, সংঘবদ্ধতার শক্তি এবং স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ম্যানেজ করার কৌশল।