সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:৪০

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ‘মুজিব দর্শনে উন্নত বাংলাদেশের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা

বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার সাথে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মিল পাই : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি

বঙ্গবন্ধু গবেষণামনষ্ক ছিলেন, বিজ্ঞানমনস্কদের উৎসাহ দিতেন : ভিসি ড. মোঃ নাছিম আখতার

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার সাথে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার মিল পাই : শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে ‘মুজিব দর্শনে উন্নত বাংলাদেশের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। প্রধান আলোচক ছিলেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. মোঃ নাছিম আখতার।

চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশার সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডঃ জাহিদুল ইসলাম রোমান।

সম্মানিত অতিথির মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী ইউনুছ বিশ্বাস, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, চাঁদপুরের পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায়, পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন, আল-আমিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ কর্নেল (অবঃ) ড. মোঃ শাহাদাত হোসেন, হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা ফেরদৌস আরা, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রাণ কৃষ্ণ দেবনাথ, বিশিষ্ট কবি ও ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া।

চাঁদপুর প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি যথাক্রমে আলহাজ¦ অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার, কাজী শাহাদাত, অধ্যক্ষ জালাল চৌধুরী, বিএম হান্নান ও শরীফ চৌধুরী, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, মির্জা জাকির, লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, এএইচএম আহসান উল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরান শোভন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শান্ত, ইব্রাহিম রনি, সাপ্তাহিক চাঁদপুর সকালের প্রকাশক ও সম্পাদক অধ্যাপক মোশারফ হোসেন, সিনিয়র সাংবাদিক পার্থনাথ চক্রবর্তী, চাঁদপুর জেলা ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ লতিফ, চাঁদপুর জেলা ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি একে আজাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তালহা জুবায়ের, মতলব উত্তর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দিন ডালিম প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি বলেন, করোনার কারণে অনেকদিন পর বড় একটি অনুষ্ঠানে আসতে পেরে ভালো লাগছে। প্রেসক্লাবে আসাটা আমার জন্যে আনন্দের। সংবাদপত্র-সাংবাদিকদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক। তাই সাংবাদিকদের যে কোনো কাজে আসতে পারলে আমার ভালো লাগে। আজকের এই আয়োজনে আমি গভীর শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায়-কৃতজ্ঞতায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পঁচাত্তরে নিহত সকল শহীদ, জাতীয় চার নেতাসহ মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি। করোনায় যাদের হারিয়েছি তাদের আমি স্মরণ করছি।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা এই শব্দগুলো অবিচ্ছেদ্য। বঙ্গবন্ধু শিশু বয়স থেকেই মানুষের প্রতি ভালোবাসা ছিল। বাল্য বয়সেই তাঁর বই-খাতা, জামা-কাপড় তিনি দরিদ্র মানুষদের দিয়েছেন। এ নিয়ে তাঁর বাবা-মা অখুশি হননি, বরং দরিদ্র মানুষের প্রতি তার ভালোবাসাকে তারা উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি তার ছেলেবেলায় শাসন, শোষণ, সাম্প্রদায়িকতা দেখেছেন। সে জন্যে ছেলেবেলাতেই তাঁর মধ্যে সাহস সঞ্চারিত হয়েছে। তিনি মানুষে মানুষে সম্প্রীতি গড়ে তুলবার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সর্বভারতীয় রাজনীতির চিত্র তিনি তরুণ বয়সে দেখেছেন। ফলে সেই তরুণ বয়সেই তাঁর মধ্যে রাজনীতিক প্রজ্ঞা সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান সৃষ্টির পর যে প্রকৃত অর্থে বাংলাদেশের স্বাধীনতা হয়নি সেটি তিনি প্রথমেই বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি বুঝতে পেরেছেন পাকিস্তান কাঠামোতে বাংলাদেশের উন্নতি হওয়া সম্ভব নয়। অনেকে বলেন, বঙ্গবন্ধু অনেক পরে স্বাধীনতার কথা ভেবেছিলেন, কিন্তু কথাটি ঠিক না। তিনি সেই গোড়া থেকেই স্বাধীনতার কথা ভেবেছিলেন। তাই তিনি অনেক আগেই ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মানুষের অধিকার আদায়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের বিকাশ।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এই দেশে ইতিহাসও হাইজ্যাক হয়েছিলো। দীর্ঘদিন আমাদের মিথ্যে ইতিহাস শিখানো হয়েছিলো। যারা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস লিখেছেন তারা অন্যের তথ্য লুকিয়ে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলনের জন্যে জেল খেটেছেন। বঙ্গবন্ধু তার সতির্থদের নিয়ে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন তার থেকেই ভাষা আন্দোলন। আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ সকল স্বাধীকার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের অবদান। তিনি স্বাধীনতাকামী বাঙালিকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই ৬ দফা থেকেই আমরা ১ দফায় পৌঁছে যাবো।

ডাঃ দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার সাথে আমি তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মিল পাই। তিনিও বলেছিলেন আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবো। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের ভূখণ্ডের ইতিহাসই জানতেন না, তিনি বিশ্বভূখণ্ডের ইতিহাসও জানতেন। তা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে প্রমাণ মিলে। তিনি অসম্ভব প্রজ্ঞায়, অসম্ভব দূরদর্শিতায় স্বাধীরতার ঘোষণা না দিয়ে আমাদের স্বাধীনতার জন্যে প্রস্তুত করে গেছেন। সেদিনের ভাষণে তিনি সবকিছুই বলে গিয়েছেন। তিনি মানুষের বঙ্গবন্ধু ছিলেন। ৭০-এর নির্বাচনে সেটি তিনি প্রমাণ করেছিলেন। সে নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছিলেন এই বাংলার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নেবার আইনত দাবিদার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালবাসলেও কেবল নিজের জীবনকে ভালোবাসতে পারেননি। তিনি আশপাশের শত্রুদের চিনতে পারেননি। যার ফলে তারা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছিলো। তারা ভেবেছিলো বঙ্গবন্ধুর পরিবারের একজন সদস্যও বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। তারা বঙ্গবন্ধুর মৃতদেহকেও ভয় পেয়েছিলো। তাই তারা বঙ্গবন্ধুর লাশটি প্রত্যন্ত গ্রামে অবেহেলায়-অনাদরে দাফন করেছিলো। সেদিন বঙ্গবন্ধুর অসংখ্য অনুসারী প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। ঘাতকদের অত্যাচারে অনেককে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।

ডাঃ দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান কারফিউ জারি করে ক্ষমতায় ছিলো। সে এন্ট্রি আওয়ামী লীগ, স্বাধীনতা বিরোধীদের নিয়ে দল গঠন করেছিলো। অনেকে বলে, জিয় না কি বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা। তিনি স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার দিয়েছিলো, রাষ্ট্রক্ষমতা দিয়েছিলো। এই হলো তার বহুদলীয় গণতন্ত্র।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেয়া পথরেখা ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনা অপ্রতিরোধ্য গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষানীতি, বিজ্ঞানমনস্ক, কারিগরি শিক্ষা, প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে এগিয়ে নিচ্ছেন। আজকেও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, সাহিত্য-সংস্কৃতিসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু প্রাসঙ্গিক। বাঙালির জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। আজকে দেশের যে অগ্রযাত্রা তা বঙ্গবন্ধুর দেখানো রূপরেখারই অংশ। করোনার মহামারিতেও বঙ্গবন্ধু কন্যা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। এখন আর ভাষার জন্যে, দেশের জন্যে রক্ত দিতে হবে না। শুধুমাত্র যার যার অবস্থান থেকে দেশটাকে ভালোবাসলেই বঙ্গবন্ধুর প্রতি সত্যিকারের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হবে।

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ড. মোঃ নাছিম আক্তার বলেন, দর্শন হলো এমন একটি গুণ যা ভেতর থেকে নিজেকে উজ্জীবিত করে। সুদর্শন, ইতিবাচক দর্শন। এটি যে দেশে যতটা সে দেশ ততটা উন্নত। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা স্বাধীন দেশ পেতাম না। বঙ্গবন্ধুর দর্শন ছিলো ইতিবাচক। বাঙালির মুক্তির জন্যে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন। জীবনের সাড়ে ১২টি বছর তিনি জেলে কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু যদি চাইতেন তবে তিনি হয়ত মন্ত্রীত্ব পেতেন, বড় শিল্পপতি হতেন কিন্তু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি হতে পারতেন না। তাঁর পিতা বলেছিলেন রাজনীতি করলেই হবে না, লেখাপড়া করতে হবে। লেখাপড়া ছিলো তাঁর দর্শনের একটা দিক। তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও সেই দর্শনকে ধারণ করে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিচ্ছেন। যাতে সহযোগিতা করছেন আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো প্রযুক্তি শিক্ষার কারণে এগিয়ে যাচ্ছে। অনেক উন্নত দেশে খনিজ সম্পদ নেই, কিন্তু খনিজসম্পদ আমদানি করে সেগুলো সঠিক ব্যবহার করে এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতির দর্শনও ছিলো। গবেষণামনস্ক ছিলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞানমনষ্কদের উৎসাহ দিতেন। আমরা যদি বিজ্ঞানমনস্ক জাতি গড়তে চাই তাহলে প্রযুক্তিগত শিক্ষাকে এগিয়ে যেতে হবে। বঙ্গবন্ধুর মাদকবিরোধী দর্শন ছিলো। ইউরোপের অনেক দেশ আফ্রিকাসহ পৃথীবির অনেক দেশকে মাদকের ঘোরে রেখে তারা ফায়দা লুটছে। আমাদের দেশেও বার্মাসহ প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো মাদক ঢুকিয়েছে। তারা আমাদের ঘুমিয়ে রেখে উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে দাবিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সবসময় মাদকের বিরুদ্ধে ছিলেন। কারিগরি শিক্ষার উন্নয়ন দর্শন ছিলো বঙ্গবন্ধু। দুর্নীতি সম্পর্কে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের মানুষ বঙ্গবন্ধুর দর্শনে চলছে। চাঁদপুর জেলায় ১৫টির অধিক পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে। এতে প্রমাণ করে এখানকার মানুষ বেশি করে জ্ঞানের চর্চা করে। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর নীতি-আদর্শ যদি মেনে চলে তবে আমাদের কেউ আটকায়ে রাখতে পারবে না। এই জাতি যদি মাদককে পরিহার করে তাদের কেউ আটকায়ে রাখতে পারবে না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি অনেকদিন রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে। একটি দেশ যদি উন্নয়নের শিখরে পৌঁছায় তবে তারা নিজেরাই নিজেদের ভালমন্দ বুঝতে পারবে।

জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, কলম না থাকলে আমাদের এই দেশ স্বাধীন হতো না। কলমযোদ্ধারা কলমের মাধ্যমে স্বাধীনতাকামী মানুষদের উজ্জীবিত করেছেন। আজকের এই মঞ্চ থেকে আমি কলমযোদ্ধাদের স্যালুট জানাই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম না হলে আমরা হয়তো স্বাধীন বাংলাদেশ পেতাম না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জাতির জনক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে দেশটিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। অথচ এই মহান মানুষটিকে পঁচাত্তরের পনর আগস্টে ঘাতকরা স্বপরিবারে হত্যা করে।

তিনি বলেন, বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সেই পরিকল্পনার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। আমাদের পদ্মাসেতু, মেট্রো রেল হয়েছে, রিজার্ভ বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতায় করোনার এই দুর্যোগ আমরা ভালোভাবে কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। আমাদের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয় করোনার দুর্যোগে সবসময় আমাদের সাথে ছিলেন। তিনি স্বশরীরে থাকতে না পারলেও দূর থেকে সবসময় আমাদের সাথে ছিলেন, পরামর্শ দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি করোনা টেস্টের ল্যাব করেছেন, অক্সিজেন প্লান্ট করে দিয়েছেন। যখন যা চেয়েছি তিনি করে দিয়েছেন। এজন্যে তাঁর প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। তিনি শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, আপনার পরামর্শ নিয়ে আমরা কাজ করে চাঁদপুরকে এগিয়ে নেবো।

তিনি আরো বলেন, চাঁদপুরের সাংবাদিকরা সবসময় উন্নয়নমুখি সাংবাদিকতা কলেন। নেগেটিভ সাংবাদিকতার প্রবণতা খুবই কম। এই করোনায় সাংবাদিকরা মানুষকে সচেতন করেছেন। মাস্ক, অক্সিজেন সেবা দিয়েছেন। সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদদের ভালো কাজগুলো তাঁরা তুলে ধরেছেন। আমি বিশ্বাস করি মানুষ ভালো কাজের স্বীকৃতি না পেলে ভালো কাজের উৎসহ হারিয়ে ফেলে। আমি অনুরোধ করবো চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এ ধরনের কার্যাক্রম অব্যাহত থাকবে।

পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের কাজগুলো আমার খুব ভালো লেগেছে। তারা সবসময় ভালো কাজের সাথে আছেন। এটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখেন। একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণে এটি খুব বেশি প্রয়োজন। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন সাংবাদিক হাসান মাহমুদ ও গীতা পাঠ করেন লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়